পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার! বাহিনী-যুদ্ধ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েও নিস্ফলা
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও পঞ্চায়েত ভোট-ভবিষ্যৎ নয়া দিশা দিতে পারল না। ঝুলে রইল ভোট-ভাগ্য।
শুক্রবারও নিষ্পত্তি হল না পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিবাদ মিটিয়ে পঞ্চায়েত ভোট-ভবিষ্যৎ নয়া দিশা পেল না। বাহিনী সংক্রান্ত বিবাদের মামলায় পিছিয়ে গেল মঙ্গলবার। রাজ্য বাহিনী নিয়োগের ব্যাপারে পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হাইকোর্টে সময় পেল ঠিকই, কিন্তু ভোট-ভবিষ্যৎ আরও জটিল হল।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। সেই বৈঠকও চূড়ান্ত রূপরেখা দিতে পারেনি। পাঁচ রাজ্য থেকে বাহিনী আদৌ আসবে কি না, এলেও কত সংখ্যক বাহিনী আসবে, তা চূড়ান্ত করতে রিপোর্ট জানাতে পারেনি রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় শুক্রবার বাহিনী-মামলা ঝুলে রইল।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট-ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রধান বিচারপতি, রাজ্য-কমিশন কি আদৌ তৈরি ]
উল্লেখ্য, রাজ্য ও কমিশন এক দফায় গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই এক দফায় নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত বাহিনী নেই রাজ্যের হাতে। অভিযোগ, রাজ্য তিন দফায় যে বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চেয়েছিল, এখন এক দফায় সেই একই সংখ্যক বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানিয়ে দেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ না করেই কমিশন নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। তাই ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্টকে আদালত প্রস্তাবিত দিন বলে মনে করছে। চূড়ান্ত দিন জানাবেন প্রধান বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত রায়দানের আগেই বাহিনী-মামলায় ভোট-ভাগ্য ফের জট পাকিয়ে গেল। এখন মঙ্গলবারের আগে নিশ্চিত হরওয়া যাবে না, আদৌ ১৪ মে ভোট হবে কি না।
এদিন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, অন্য বেঞ্চের মামলার রায় না দেখে শুনানি সম্ভব নয়। তাই মঙ্গলবার এই মামলা শুনবেন তিনি। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের হয়ে আর্জি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে সাফ জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।