প্রস্তুতি সাঙ্গ পঞ্চায়েত-যুদ্ধের, অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে অ্যাসিড টেস্ট রাজ্য-কমিশনের
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল রুটমার্চ। ভিনরাজ্যের বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ, সিভিক নিয়ে গ্রাম বাংলা ভারী বুটের আওয়াজে রুটমার্চ চলল সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে।
রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল রুটমার্চ। ভিনরাজ্যের বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ, সিভিক নিয়ে গ্রাম বাংলা ভারী বুটের আওয়াজে রুটমার্চ চলল সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে। শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি সেরে ভোটকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। এখন অপেক্ষা রাত কাটার। তারপরই বহু প্রতীক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনই এখন কমিশনের কাছে অ্যাসিড টেস্ট হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন:রাত পোহালেই ভোট, শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতির মাঝে নেই-ভোটের কাঁটা এক-তৃতীয়াংশে]
দীর্ঘ আইনি যুদ্ধের পর ১৪ মে একদফায় পঞ্চায়েত ভোটের অনুমতি মিলেছে। কিন্তু পান থেকে চুন খসলেই বিপদ কমিশনের। হাতে বাহিনী সংখ্যা অপর্যাপ্ত, তবু সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের উপরও বাড়তি চাপ। কোনওরকম নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলেই জবাবদিহি করতে হবে। দিতে হবে ক্ষতিপূরণ।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই এবার ভোট রাজ্য সরকার ও কমিশনের কাছে রীতিমতো পরীক্ষা। সেইকারণে ভোর থেকেই এদিন প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। শনিবার রাতেই এসে গিয়েছিল বাহিনী। এদিন সকাল থেকেই চলে টগলদারি। ইনসাস, একে-৪৭ হাতে গ্রামে গ্রামে রুটমার্চ চলে। ভোটে হিংসা অশান্তি রুখে শান্তিপূর্ণ ভোট করার বার্তা দিয়ে যায় বাহিনীর টহলদারি।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এই নিরাপত্তা। কারণ নিরাপত্তা নিয়ে চারদিন আগে পর্যন্তও ভোট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ছিল। শেষমেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে এবারের পঞ্চায়েত ভোটের অনুমতি দেন। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী না নিয়ে রাজ্যের পুলিশের উপরই ভরসা রাখেন।
সেইসঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে আসা হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের সাহায্য নিয়ে এবার নির্বাচনকে অবাধ করার অভিযানে নেমেছে রাজ্য। আর রাজ্যের পুলিশি সংখ্যা বাড়াতে এই ভোট-বাহিনীতে যুক্ত করা হয়েছে কারারক্ষী, বনরক্ষী, আবগারি কর্মীদেরও।
এদিন অতি স্পর্শকাতর বুথগুলির ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন পুলিস কর্তারা। শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে ভোট করার ব্যাপারে তাঁরা আশ্বস্ত করেন। ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্স নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তায় নিযুক্ত হন একজন করে সশস্ত্র বাহিনী ও দুজন লাঠিধারী বাহিনী। কমিশন কন্ট্রোল রুম খুলেছে ভোটপ্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাতে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তায় যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছে কমিশন।