মান্নানের সাসপেনশনের প্রতিবাদে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ‘বিকল্প বাজেট’ বিরোধীদের!
বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদে বাজেট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বিধায়করা।
কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি : বিধানসভা বয়কট করলেও বাম-কংগ্রেসের যৌথ প্রতিবাদ চলছে। বৃহস্পতিবারও বিধানসভায় বাইরে প্রতিবাদ মিছিল করে বিক্ষোভ-অবস্থান চালাচ্ছেন বিরোধী বিধায়করা। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের এই যৌথ প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিধায়কদের দাবি, আগামীকাল আম্বেদকর মুর্তির পাদদেশেই তাঁরা 'বিকল্প বাজেট' ঘোষণা করবেন।[মান্নানকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদে বাজেট বয়কটের সিদ্ধান্ত কংগ্রেস-বাম বিধায়কদের]
বিরোধীদের দাবি, বিধানসভা থেকে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার প্রতিবাদ চলবেই। ইতিমধ্যে বাজেট অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বিধায়করা। বুধবার বাম-কংগ্রেস যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিধানসভা বয়কট করা হবে। আগামী দু'দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিধানসভা বয়কট করবে বিরোধীরা।[আবদুল মান্নানকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়]
শুক্রবার অর্থাৎ আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ। সেই অধিবেশনে কোনও বাম ও কংগ্রেস বিধায়ক উপস্থিত থাকছেন না। পরোক্ষে তারা বিধানসভা কক্ষের বাইরে আম্বেদকর মুর্তির পাদদেশে 'বিকল্প বাজেট' পেশ করবেন। এটাই হবে তাঁদের প্রতিবাদ।[যুদ্ধ জারিই, মান্নানের মানসিক বিকারগ্রস্তের পাল্টা মিথ্যেবাদী তত্ত্ব মানসের]
বুধবার সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের প্রতিরোধ বিল পাস করা নিয়ে বিধানসভায় হুলুস্থুল বাধে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেন। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন বিরোধী বিধায়করা। বিরোধী দলনেতাকে দু'দিন সাসপেন্ড করা হয়। মার্শালদের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তিতে তিনি গুরুতর অসুস্থা হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
লেনিন সরণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁর হৃদযন্ত্রে সমসা দেখা দিয়েছে। তাই তাঁর বুকে পেসমেকার বসানো হবে। সেই তোড়জোড় চলছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পত্তি রক্ষায় বিল পাস নিয়ে এককাট্টা হলেও, বিরোধী দলনেতার অসুস্থতায় সৌজন্য দেখিয়েছেন তিনি। তিনি চিকিৎসক বিধায়ককে পাঠিয়েছেন মান্নান সাহেবকে দেখতে।
এদিকে বাম পরিষদীয় দলনতা জানিয়েছেন, সম্পত্তি রক্ষায় এই সংশোধনী বিল জিজিয়া করের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তারপর বিধানসভার অধ্যক্ষ যে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলনতা আবদুল মন্নান সাহেবকে সাসপেন্ড করেছেন, তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এই সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটবেন তাঁরা।