বিরোধী ঐক্যের মহাজোট আরও পোক্ত! ‘মেরুদণ্ডহীন’ সিবিআইকে ‘বিবিআই’-তোপ
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এর আগে বহুবার প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঠগড়ায় তুলেছেন সিবিআইয়ের নানা ভূমিকা। এবার সিবিআইকে নিশানায় হল মহাজোট।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এর আগে বহুবার প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঠগড়ায় তুলেছেন সিবিআইয়ের নানা ভূমিকা। একা মমতা নন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদব-রা গর্জে উঠেছেন কেন্দ্রের এই সংস্থার বিরুদ্ধে। আবার মহাজোটের সেই চিত্র ধরা পড়ল টুইটারে।
মমতার টুইটার তোপ
সম্প্রতি রোজভ্যালি-কাণ্ডে টলিউডের নামী প্রয়োজক সংস্থা ভেঙ্কটেশ ফিল্মের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা গ্রেফতার হয়েছেন, তারপর হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ছে সিবিআই। এরপরই ফের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গ উল্লেখ না করলেও, তিনি সিবিআইয়ের সমালোচনা করে টুইটারে তোপ দেগেছেন।
|
সিবিআই মেরুদণ্ডহীন সংস্থা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন- সিবিআই একটি মাথাবিহীন সংস্থা, এখন মেরুদণ্ডহীন বিজেপিতে পরিণত হয়েছে। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিবিআইয়ের মানে এখন বদলে গিয়েছে, সিবিআই এখন কনস্পিরেসি ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া। কনস্পিরেসি করে দেশকে ধ্বংস করছে এই সংস্থা।
|
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বিজেপির
মমতা এদিন আরও লেখেন- অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে বহিন মায়বতীজি, কাউকে ছাড়ছে না সিবিআই। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, বিজেপি সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে চলেছে। এটাই প্রমাণ করছে, তারা ভয় পেয়েছে, তারা হতাশ হয়ে পড়েছে, তাই এই ধরনের কাণ্ড-কারখানা ঘটিয়ে চলেছেন একের পর এক।
রাহুলের লাইক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটকে সমর্থন করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি লাইক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর টুইটকে। সিবিআইকে মেরুদণ্ডহীন সংস্থা বলেছেন মমতা। রাহুলেরও তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বিজেপি যে সিবিআইকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কাজে লাগাচ্ছে, তা জানান রাহুলও।
[আরও পড়ুন: বড় ভাঙন মহাজোটে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের মহাযুদ্ধে ক্রমেই একা হচ্ছেন রাহুল ]
|
সিবিআই এখন বিবিআই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটকে সমর্থন করে তেজস্বী যাদব পাল্টা টুইট করেন। তিনি লেখেন, সিবিআই এখন বিবিআই। অর্থাৎ বিজেপি ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। বিজেপির হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে এই সংস্থা। তিনি লেখেন- বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চললে, তুমি ক্লিনচিট পাবে, তুমি রাজা হরিশ্চন্দ্র হবে। আমার বাবা বিজেপি ও আরএসএসের বিরোধিতা করেছে, তাই আজ জেলে আছে।
[আরও পড়ুন:২০১৯-এ কোন রাজ্য কার দখলে থাকবে, ইঙ্গিত মিলল ন্যাশনাল ট্রাস্টের সমীক্ষায়]
|
এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে নিয়ে লড়াই
অরবিন্দ কেজরিওয়াল লেখেন- মোদীজি রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছেন না। তাই এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিকে নিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশজি-মায়াবতীজির সঙ্গে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, দিল্লিতে আপের সঙ্গে। মোদী-শাহ জুটি কোনও বিরোধীকেই ছাড়ছে না।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ লোকসভার আগে ইস্যুর লড়াইয়ে কে এগিয়ে মোদী না রাহুল, একনজরে সমীক্ষা]