ভোট বাতিলের দাবিতে এবার মামলার গেরোয় পড়তে চলেছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ
আবার মামলার গেরোয় পড়তে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে আইনি-যুদ্ধের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি-সিপিএমসহ বিরোধীরা।
আবার মামলার গেরোয় পড়তে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে আইনি-যুদ্ধের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি-সিপিএমসহ বিরোধীরা। সোমবার পঞ্চায়েত ভোট কাটলেই বিরোধীরা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। এবার তাঁদের মূল দাবি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট বাতিল করার। এবারের ভোটকে সন্ত্রাসের আখ্যা দিয়ে তারা আদালতে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী হিংসায় আক্রান্ত পুলিশ! আহত রতুয়া থানার ওসি সহ আরও এক কর্মী]
সোমবার সকাল থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। ভোটের উৎসবে রক্তের হোলি চলে। একাধিক প্রাণের বলি হয়। কার্যত রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট প্রহসনে পরিণত হয় এদিন। প্রশ্ন ওঠে রাজ্য সরকারের পুলিশ তাহলে কী করল। কমিশন কেন ব্যর্থ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে। কমিশন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না তাহলে হাইকোর্টে কেন জানাল, রাজ্য সরকার যে নিরাপত্তা রক্ষী দিচ্ছে তা দিয়েই ভোটদান সম্ভব?
এবার পঞ্চায়েক নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই হিংসা শুরু হয়েছিল। মনোনয়ন পর্বে লাগামহীন সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন ১৯ জন। তারপরও পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের দিনক্ষণ ও পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ও নিরাপত্তা নিয়ে হাইকোর্টে আইনি যুদ্ধ শুরু হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। শেষমেষ আদালত শর্ত সাপেক্ষ এক দফায় ভোটের অনুমতি দেয়।
আদালতের সেই শর্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার বিরোধীরা আদালতে গিয়ে রাজ্য ও কমিশনের ব্যর্থতার সেই কথাই তুলে ধরবেন। তুলে ধরবেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের কথা। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, সন্ত্রাসের ছবি দিয়েই আমরা ভোট বাতিলের দাবি জানাব। এই ভোট বৈধ নয়। তাই নতুন করে পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে দাবি সিপিএম ও কংগ্রেসেরও। তাই পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও আবারও মামলার গেরোয় আটকাতে চলেছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত দুই সিপিএম কর্মী]