For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

কলকাতায় দূষণের মাত্রা হার মানাল দিল্লিকেও

দূষণের মাত্রায় দিল্লিকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল কলকাতা। মঙ্গলবার কলকাতার দূষণের মাত্রা ছিল বিশ্বের সব থেকে বেশি। দূষণ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আমেরিকার দূতাবাস ।

  • |
Google Oneindia Bengali News

দূষণের মাত্রায় দিল্লিকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেল কলকাতা। মঙ্গলবার কলকাতার দূষণের মাত্রা ছিল বিশ্বের সব থেকে বেশি। দূষণ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আমেরিকার দূতাবাস ।

কলকাতায় দূষণের মাত্রা হার মানাল দিল্লিকেও

মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ কলকাতার দূষণের মাত্রা ছিল ৫৬৫। যা সহনশীলতার থেকে ৯ গুণ বেশি। দূষণে কলকাতার সহনশীলতার মাত্রা ৬০। মঙ্গলবার ভোরে দূষণের এই মাত্রা পৃথিবীর শহরগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি। এমন কী দূষণের জন্য দীর্ঘদিন খবরের শিরোনামে থাকা দিল্লির দূষণের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি। দূষণ নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নির্মাণ কাজের ধুলো, গাড়ির ধোঁয়া এবং পরিবেশের অন্য ফ্যাক্টরের জন্য দূষণের মাত্রা বেড়েছে।

বছরের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে, ১২ তম দিনে কলকাতার দূষণের মাত্রা ৩০০ পার করে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি সকালে সাম্প্রতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় দূষণের মাত্রা। দিওয়ালির সময় ছাড়া অন্য সময়ে দূষণের এই মাত্রা অভাবনীয় বলেই বর্ণনা করছেন পরিবেশবিদরা। চিন্তিত পরিবেশ বিজ্ঞানীরাও। পরিবেশ বিজ্ঞানী এসএম ঘোষ জানিয়েছে, কলকাতা কিংবা আশপাশে তেমন কোন বড় শিল্পও নেই। এমন কী হঠাৎ করে খুব বেশি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে, তেমনটিও নয়। তহে পারে, এসপ্ল্যানেড এলাকায় বেশি দূষণ ছড়িয়েছিল। যেখানেই কিনা রয়েছে আমেরিকার দূতাবাস। তবে এটাও একমাত্র কারণ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী এসএম ঘোষ।

কলকাতায় দূষণের মাত্রা হার মানাল দিল্লিকেও

এই পরিবেশ বিজ্ঞানীর মতে বিষয়টির পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এলাকায় মেট্রোর কাজ জোর কদমে চলে দিনের বেলায়। এমন কী বিকেলেও ব্যস্ত সময়েও কাজ চলে প্রচণ্ড গতিতে। একইসঙ্গে এলাকা দিয়ে যায় বহু গাড়ি।

শীতকালে কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে, বাতাসের ধূলিকণাও থাকে নিচের দিকে। ফলে দূষণ সৃষ্টিকারী বস্তুও এই ধূলিকণার সঙ্গেই মিশে থাকে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ঢোকে একের পর এক ট্রাক। এর সঙ্গে যুক্ত হয় খোলা আকাশের নিচে আগুন পোহানোর ঘটনাও। ফলে সহর জুড়েই বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রা। এমনটাই মনে করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী এসএম ঘোষ।

পরিবেশ গবেষকরা দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য দোষ দিচ্ছেন শহরে যানবাহনগুলিকেই। পরিবেশ গবেষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলছেন, কলকাতায় চলা বেশিরভাগ যানবাহনই কোনও পলিউশন নর্ম মেনে চলে না। তবে এই সব যানবাহনের বেশিরভাগটাই আবার বাণিজ্যিক পরিবহন। যেগুলি বেশিরভাগই চলে রাত থেকে ভোরে মধ্যে। দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কম থাকলে দূষণ সংক্রান্ত ধূলিকনাও নেমে আসে বাতাসের নিচের স্তরে। এরই মধ্যে কলকাতার মধ্যে দিয়ে চলা গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেলেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়।

সকালের দিকে পুরনো পদ্ধতিতে রাস্তা পরিষ্কার কিংবা জঞ্জালে আগুন দেওয়ার ঘটনাকেও দায়ী করেছেন পরিবেশ বিষারদরা। দূষণের কথা মাথায় রেখে পদ্ধতির পরিবর্তন করা উচিত বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনাই করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

কলকাতায় দূষণের মাত্রা হার মানাল দিল্লিকেও

মঙ্গলবার রাত একটা থেকে ৬ টার মধ্যে কলকাতার এসপিএম কাউন্ট ছিল ৫০০-র ওপরে। ভোর ৫ টা নাগাদ যা ছিল সর্বোচ্চ। এসপিএম কাউন্ট ছিল ৫৬৫-তে। সকাল ৭ টা থেকে ক্রমশ কমতে থাকে। কিন্তু বেলা ১২ টার আগে কখনই তা ৪০০-র নিচে যায়নি। বেলা ১১টা নাগাদ যা ছিল ৪২৯-তে।

আমেরিকার দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এসপিএম কাউন্ট ৩০১-৫০০-র মধ্যে হলেই তাকে বিপজ্জনক বলা হয়। যদিও সেখানে এর উচ্চমাত্রা সম্পর্কে কোনও কথাই বলা হয়নি। তবে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাকে মারাত্মক বলেই বর্ণনা করছেন ক্যান্সার বিষারদ সুবীর গাঙ্গুলি। শ্বাসযন্ত্রের অসুবিধা কিংবা অ্যাজমা ছাড়াও মাথায় এবং ঘাড়ের ক্যান্সারের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

English summary
On Tuesday, Kolkata was worlds worst polluted city
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X