ফের রণক্ষেত্র এনআরএস, ভেস্তে গেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-পড়ুয়াদের বৈঠক
এদিন ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এনআরএস হাসপাতাল।
এদিন ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এনআরএস হাসপাতাল। কুকুর ছানা খুন কাণ্ডে এদিন আলোচনায় বসেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছিল হস্টেল পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরাও। মূল অভিযুক্ত দুজন ও বাকী তিন অভিযুক্ত মিলিয়ে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বজায় রাখার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্রীরা প্রথম থেকেই দাবি জানায়, তাঁদের দাবি মেনে শাস্তি ফিরিয়ে নিতে হবে।
এই বাদানুবাদে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রীরা। ঘেরাও করা হয় সুপার ও ডেপুটি সুপারকে। পরে পুলিশ এসে তাদের বের করে নিয়ে যায়। পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায় নার্সিংয়ের ছাত্রীরা।
নার্সিং পুড়ুয়াদের দাবির একটি দিক হল, হাসপাতালকে কুকুর-বিড়াল মুক্ত করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি দাবি রয়েছে, কুকুর ছানা খুন কাণ্ডে পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন নতুন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পড়ুয়াদের দাবি ছিল, কেন একই অপরাধে দুবার বিচার ও সাজা হবে।
এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রথম যে দাবিগুলি পড়ুয়ারা করেছে তা যুক্তিসঙ্গত। সেই অনুযায়ী কুকুরের নির্বীজকরণ বা পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপত্তার দিকগুলি নিয়ে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর তদন্তের যে কথা তোলা হচ্ছে তা যে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগ উঠলে তা প্রতিষ্ঠান তদন্ত করে দেখে। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই।
ফলে পড়ুয়ারা নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখালে কর্তৃপক্ষও দাবি মানতে রাজি হননি। ফলে আলোচনার মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপাররা বেরিয়ে আসতে চাইলে তাদের ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। এভাবেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।