নোট বাতিল, শীত উধাও, থোড়াই কেয়ার বাঙালি বড়দিনে মেতেছে পর্যটনে
২৫ ডিসেম্বর এসে গিয়েছে, ৮ নভেম্বরের ভ্রুকুটি ‘উধাও’। নাই পড়ুক শীত। বড়দিন যখন এসে গিয়েছে আনন্দ শুরু। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনই সেই আভাস দিচ্ছে। আভাস দিচ্ছে মুকুটমণিপুরও।
দার্জিলিং, ২৫ ডিসেম্বর : ২৫ ডিসেম্বর এসে গিয়েছে, ৮ নভেম্বরের ভ্রুকুটি 'উধাও'। নাই পড়ুক শীত। বড়দিন যখন এসে গিয়েছে আনন্দ শুরু। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনই সেই আভাস দিচ্ছে। আভাস দিচ্ছে মুকুটমণিপুরও। নোট বাতিল, থোড়াই কেয়ার। দার্জিলিং হোক বা তরাই-ডুয়ার্স, থইথই পর্যটক প্রতি পর্যটন কেন্দ্রে। ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে পাহাড়ে।
৮ নভেম্বর নোট বাতিল করেছে কেন্দ্র। তারপর থেকেই মানুষের দুর্ভোগ চলছেই। ইতিমধ্যেই দেড়মাস অতিক্রান্ত। তবু নোট-দুর্ভোগ কমেনি। তবু সবকিছুকে উপেক্ষা করেই ভ্রমণপিপাসু বাঙালির ডেস্টিনেশন পর্যটনকেন্দ্র। শীতের আমেজ থাকুক না থাকুক, থোড়াই কেয়ার। পাহাড় টানছে মানুষকে। সেই টানে বড়দিনকেই উপলক্ষ করছেন পর্যটনপ্রেমীরা।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাই গন্তব্য পাহাড়। শুধু দার্জিলিং নয়, ডুয়ার্সেও এবার ভিড়। গরুমারা, লাটাগুড়িতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তবে শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, দক্ষিণবঙ্গের পাহাড়েও এবার বড়দিনের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বড়দিনের আগেই বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড়। জল, জঙ্গল আর পাহাড়ের এক অপরূপ মেলবন্ধন এই মুকুমণিপুর। তাই অপরূপ শোভার সাক্ষী নিতেই মুকুটমণিপুরে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকেই। শুধু বাংলার পর্যটকরাই নন, ভিনরাজ্যের পর্যটকদের ভিড়ও উল্লেখযোগ্য।
শন্তিনিকেতনে শুরু হয়েছে পৌষমেলা। সেখানেও দেশবিদেশের পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। প্রতিদিনই এই মেলায় মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন প্রতিদিনই। বড়দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে আরও। সেইসঙ্গে একদিনের ট্যুরে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ৫৮ গেট, গাদিয়াড়ার মতো কলকাতার কাছাকাছি পর্যটন কেন্দ্রেও। সব মিলিয়ে শীতের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও পর্যটকদের খামতি নেই বড়দিনের আনন্দ উপভোগে।