নোট বাতিলকাণ্ডে শাসক-বিরোধী ঐক্য উধাও বিধানসভায়, সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হল না
নোট বাতিলকাণ্ডে দু’দিন আগে বিধানসভা শাসক-বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখিয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টা পরই সেই ঐক্যের ছবিটা একেবারেই ফিকে। বরং উল্টে শাসক-বিরোধী মতানৈক্যই স্পষ্ট হয়ে উঠল বুধবার।
কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর : নোট বাতিলকাণ্ডে দু'দিন আগে বিধানসভা শাসক-বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখিয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টা পরই সেই ঐক্যের ছবিটা একেবারেই ফিকে। বরং উল্টে শাসক-বিরোধী মতানৈক্যই স্পষ্ট হয়ে উঠল বুধবার। ফলে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হল না। সরকার পক্ষ তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা জেরে তাঁদের পক্ষে প্রস্তাব পাস করিয়ে নিল।
এদিন সংসদের পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভাও নোটকাণ্ডে সরব হয়ে উঠেছিল। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পক্ষে বিধানসভা থেকে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস করাই ছিল সরকার পক্ষের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই প্রথম দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় চেয়েছিলেন বিরোধীদের সমর্থন আদায়ের। বিজেপি ছাড়া বাকি বিরোধীদল অর্থাৎ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বিধায়কদের নৈতিক সমর্থন সেদিন আদায় করে নিতে সমর্থ হন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার বিধানসভার কাজ শুরু হওয়ার পরই সরকার পক্ষ এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। তাঁরা দাবি তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সরকার পক্ষ ভেবেছিল বিরোধী বাম ও কংগ্রেসও তাঁদের সেই দাবিতে সমর্থন জানাবে। কিন্তু উল্টোসুর শোনা যায় বিরোধী বিধায়কদের মুখে।
বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী স্পষ্টতই জানান, তাঁরা নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পক্ষে নন। তাঁরা চান, অবিলম্বে নোটের জোগান পর্যাপ্ত করে মানুষের কষ্ট লাঘব সুনিশ্চিত করতে। এই নিয়েই সরকার ও বিরোধী মতানৈক্য তৈরি হয়। শেষমেশ সেই মতানৈক্যের জেরেই আটকে যায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।