রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: সিপিএম দূর অস্ত, মমতার উদ্যোগে সামিল না হওয়ার সম্ভাবনায় অনেকেই! বৈঠকের সফলতা নিয়ে গুঞ্জন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে। বুধবার বিকেল তিনটেয় হওয়া সেই বৈঠকে অনেক দল কিংব
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে। বুধবার বিকেল তিনটেয় হওয়া সেই বৈঠকে অনেক দল কিংবা তাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন। ফলে বৈঠকের সফলতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
উদ্ধব ঠাকরে যাবেন অযোধ্যায়
সাম্প্রতিক রাজ্যসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা। তাদের নিশ্চিত একটি রাজ্যসভার আসন চলে গিয়েছে বিজেপির দখলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ জানালেও তিনি বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতেপারছেন না বলে জানা গিয়েছে। সেই দি উদ্ধাব ঠাকরে যাবেন অযোধ্যায়। একটা সময়ে রামমন্দিরের জন্য একসঙ্গে আন্দোলন করা শিবসেনা এখন বিরোধী শিবিরে। বিজেপি এখন একাই রামমন্দির তৈরির কৃতিত্ব নিচ্ছে। কিন্তু শিবসেনা তা হতে দিতে চায় না।
সিপিএম-সহ অন্য বিরোধীদের অবস্থান
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
যে
২২
নেতাকে
বুধবারের
বৈঠকের
জন্য
চিঠি
দিয়েছেন,
তার
মধ্যে
রয়েছেন
কেরলের
মুখ্যমন্ত্রী
পিনারাই
বিজয়ন
এবং
সিপিএম
সাধারণ
সম্পাদক
সীতারাম
ইয়েচুরি।
ইয়েচুরি
ইতিমধ্যেই
বলেছেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই
ধরনের
কাজ
বিরোধীজোটের
পক্ষে
ক্ষতিকারক।
অন্যদিকে
বিষয়টি
নিয়ে
তেলেঙ্গানার
মুখ্যমন্ত্রীর
কেসিআর-এর
সঙ্গে
মতভেদ
রয়েছে
মমতার।
সেই
কারণে
তাদের
অবস্থান
অস্পষ্ট।
আর
পাশের
রাজ্য
অন্ধ্রপ্রদেশের
ওয়াইএসআর
কংগ্রেস
এবং
ওড়িশার
বিজু
জনতা
দল
২০১৭-তে
বিজেপির
প্রার্থীকে
সমর্থন
করেছিল।
ফলে
তাদের
তাদের
অবস্থান
এবারও
সেদিকেই
থাকার
সম্ভাবনা
রয়েছে
বলে
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকদের
একটা
বড়
অংশ।
অন্যদিকে
কংগ্রেসের
সোনিয়া
গান্ধীকে
আমন্ত্রণ
জানানো
হলেও
তিনি
এই
মুহুর্তে
হাসপাতালে
ভর্তি।
তবে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়েরপদক্ষেপ
নিয়ে
কংগ্রেসের
অভ্যন্তরে
প্রশ্ন
রয়েছে।
কেননা
রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন
নিয়ে
সোনিয়া
গান্ধীও
উদ্যোগ
শুরু
করেছিলেন।
তিনি
রাজ্যসভায়
কংগ্রেসের
নেতা
মল্লিকার্জুন
খারগেকে
এব্যাপারে
কথা
বলার
জন্য
দায়িত্ব
দিয়েছিলেন।
এছাড়াও
তিনি
নিজেও
শরদ
পাওয়ার
এবং
এমকে
স্ট্যালিনের
মতো
নেতার
সঙ্গে
কথা
বলেছিলেন।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা
এও
বলছেন
রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন
নিয়ে
কংগ্রেস
যে
সিদ্ধান্ত
নেবে,
তাকেই
সমর্থন
করতে
প্রস্তুত
পাওয়ারের
এনসিপি,
তামিলনাড়ুর
মুখ্যমন্ত্রী
স্ট্যালিনের
ডিএমকে।
কেউই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ ভোট। আর সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। অঙ্কের নিরিখে বিরোধী শিবির এগিয়ে। সেই পরিস্থিতি বিজেপির তরফে এনজিএ এবং ইউপিএ শরিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। তবে না কংগ্রেস, না তৃণমূল কিংবা বিজেপি কেউই কোনও প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি।
মমতার চিঠি ৮ মুখ্যমন্ত্রী এবং ২২ অবিজেপি নেতাকে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী নিয়ে পরিকল্পনা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২২ জন অবিজেপি নেতাকে চিঠি দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ জুনের বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের ভগবত মান, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনকে।
তৃণমূলে কি রাশ আলগা মমতার? নাকি গুপ্তচর চিনতে ব্যর্থ! শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে জল্পনা তুঙ্গে