হরিদেবপুরে প্যাকেটে মেলেনি মানব দেহাংশ! 'বিভ্রান্তি'তে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ফাঁকা জমিতে মুখবন্ধ প্যাকেটের মধ্যে কোনও ভ্রূণ কিংবা দেহাংশ পাওয়া যায়নি। মিলেছে মেডিকেল বর্জ্য। এমনটাই জানিয়েছেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট।
দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ফাঁকা জমিতে মুখবন্ধ প্যাকেটের মধ্যে কোনও ভ্রূণ কিংবা দেহাংশ পাওয়া যায়নি। মিলেছে মেডিকেল বর্জ্য। এমনটাই জানিয়েছেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট। যদিও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় মেয়র জানিয়েছিলেন দুটি প্যাকেটে ১৪ টি ভ্রূণ পাওয়া গিয়েছে। সরকারি পর্যায়ে তথ্য পরিবেশনে কেন এমন তফাত না নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রবিবার দুপুরে ২০৪ নম্বর রাজা রামমোহন রায় রোডের ফাঁকা জমিতে নির্মাণ কাজের জন্য জমি পরিষ্কারের সময় মুখ্যবন্ধ প্যাকেট পাওয়া যায়। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেলা চারটে নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারও। সেই সময় প্যাকেট দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁদের সবারই দাবি ছিল প্যাকেটে রয়েছে ভ্রূণ কিংবা সদ্যোজাতের দেহাংশ।
মেয়র আরও জানিয়েছিলেন, শুধু ওই জায়গাতেই নয়, আশপাশের জলা জমিতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র।
পরে প্যাকেট পাঠানো হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। সন্ধেয় চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞদল পরীক্ষা করে জানান, প্যাকেটে কোনও মানব দেহাংশ নেই। প্যাকেটে মেডিকেল বর্জ্য থাকার কথা জানান তারা। পরে আরও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়, প্যাকেটে ড্রাই আইস রয়েছে। রয়েছে ডায়াপার। পরীক্ষার পর এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানিয়েছিলেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট নীলাঞ্জন বিশ্বাস।
প্রশ্ন উঠছে অনেক। যদি প্যাকেটে মেডিকেল ওয়েস্ট কিংবা ডায়াপারই থাকে, তবে তা কেন লুকিয়ে সেখানে ফেলা হয়। উত্তর মেলেনি সেই প্রশ্নের। আর কেনই বা প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় মেয়র কিংবা পুলিশের তরফে ভ্রূণ কিংবা সদ্যোজাতের দেহাংশ থাকার কথা জানানো হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, হরিদেবপুরে প্যাকেট উদ্ধারের খবরে সবমহলেই আতঙ্ক ছড়ায়। কেননা ২০১৬-র নভেম্বরের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই সময় উত্তর ২৪ পরগনার মসলন্দপুরে এক সেচ্ছাসেবী সংস্থার হেফাজত থেকে সিআইডি তিনটি খুলি উদ্ধার করেছিল।