চাকরি চেয়ে কামড় খাওয়া আন্দোলনকারী সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাতে মামলা
যোগ্য চাকরি চেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ! আর তা দেখাতে গিয়ে খেতে হল পুলিশের কামড়। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাতরালেন থানার মধ্যে। দিনের শেষে সেই চাকরি প্রার্থীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই চাকরি প্রার্থীর নাম অরুণি
যোগ্য চাকরি চেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ! আর তা দেখাতে গিয়ে খেতে হল পুলিশের কামড়। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাতরালেন থানার মধ্যে। দিনের শেষে সেই চাকরি প্রার্থীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই চাকরি প্রার্থীর নাম অরুণিমা পাল বলে জানা যাচ্ছে।
তাঁকে তো বটেই, একই সঙ্গে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারাও। আজ বৃহস্পতিবার অরুণিমা পাল সহ সবাইকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীরা। বুধবার হঠাত করেই ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। রবীন্দ্র সদনে নেমে আন্দোলন দেখানোর কথা ছিল। কিন্ত্য সেখানে নামতেই পুলিশ একের পর এক আন্দোলনকারীকে আটক করে। আর তা সামলাতেই আরও কয়েক জন আন্দোলনকারী বিভিন্ন জায়গাতে জড়ো হয়ে যায়। একটা দল পৌঁছে যায় ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের। যা সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের।
নিন্দা জানান বিরোধী দলনেতাও।
আর এর মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে এক আন্দোলন কারীর ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায়। আর তাঁকে সামলাতে এক পুলিশ কর্মী ওই আন্দোলনকারী মহিলাকে কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের অভিযোগ পুরুষ পুলিশ কর্মীরা তাঁদের গায়ে হাত দিয়েছে। এমনকি ঘুশি মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
তবে যেভাবে আন্দোলন কারীকে পুলিশ কামড়ায় তা ক্যামেরাতে ধরা পড়ে যায়। আর এরপরেই রাজ্যজুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। কড়া ভাষায় নিন্দা জানান বিরোধী দলনেতাও।
একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই আন্দোলনকারী অর্থাৎ অরুণিমা পাল সহ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করে নিয়ে পুলিশ। সেখানে পুলিশকে অরুণিমা আহত হওয়ার খবর জানালেও কিছু করেনি বলে অভিযোগ। এমনকি রাতে সবাইকে ছেড়ে দিলেও অরুণিমা সহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাকে পুলিশ কামড়ালো তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে খবর। তবে যে পুলিশ কর্মী কামড়ান ওই আন্দোলনকারীকে তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে।
আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ! বাড়ছে উদ্বেগ