পুজোর কেনাকাটায় নেই ভিড়, পোশাক–গয়নার পসরা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় হাতিবাগন
অক্টোবর মাস মানেই উৎসবের মরশুম। আর উৎসব মানে দুর্গাপুজো। করোনা আবহে এ বছর সরকারি বিধি–নিধেষ ও নির্দেশিকা মেনে পুজো হচ্ছে। কলকাতা শহর থেকে জেলা সব জায়গাতেই পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে এনাকাটা ছাড়া পুজো কিন্তু ঠিক জমে না। যদিও এ বছর শহরের জনপ্রিয় মার্কেট এলাকাগুলি অন্য কথাই বলছে।
অন্যান্য বছর এই সময় হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, নিউমার্কেট চত্ত্বরে পা দেওয়ার জো থাকে না। ছোট থেকে বড় সব দোকানেই উপচে পড়ে ভিড়। কিন্তু এ বছর করোনা সঙ্কটের জন্য পুজোর বাজার এমনিতেই খুব দেরিতে খুলেছে তারওপর গ্রাহকের সংখ্যাও হাতে গোনা। তাই প্রতিদিন গ্রাহকের অপেক্ষায় দিন গুনছেন অন্যান্য এলাকার মতো হাতিবাগানও। কলকাতা শহরের অতি পুরনো ও জনপ্রিয় কেনাকাটার প্রিয় এলাকা হল হাতিবাগান। শাড়ি থেকে ড্রেস বা ইমিটেশনের রকমারি সম্ভারে ভরে থাকে এই চত্ত্বরটি। পুজোর অনেক আগে থেকেই ভিড় হতে শুরু করে দেয়। আর পুজো কাছে আসতে আসতে সেই ভিড় বাড়তেই থাকে। কিন্তু এ বছর করোনা সঙ্কটের জন্য ফাঁকা হাতিবাগান। গ্রাহক নেই সেভাবে কোনও দোকানেই। কোনও গ্রাহক যদি ভাগ্যক্রমে এসেও পড়ে তাঁরা শুধু দাম জিজ্ঞাসা করেই চলে যাচ্ছে। অগত্যা পোশাক–চুড়ি–দুল–হারের পসরা সাজিয়ে নিরাশ চোখে দোকানিরা শুধুই অপেক্ষা করে চলেছে।
হাতিবাগান চত্ত্বরের এক পোশাক বিপনণের কর্তা জানান, একে তো করোনা আতঙ্ক তারপর এখন বেশিরভাগ ক্রেতারাই শপিং মলের দিকে যাচ্ছেন। একই ছাদের তলায় যখন সবকছু পাচ্ছে তখন কেন তাঁরা এইসব দোকানে ঢুঁ মারবেন। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা হাতিবাগান বা এইসব মার্কেট প্লেস ছাড়া কেনাকাটা করেন না, এখন সেইসব ক্রেতাদের অপেক্ষায় রয়েছি। এক ইমিটেশন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শপিং মলের পাশাপাশি এখন অনলাই শপিংয়ের ফলেও তাঁদের ব্যবসা বেশ মন্দায় যাচ্ছে। মানুষ করোনা আবহে বাইরে না বেড়িয়েও পছন্দের জিনিস বাড়িতে পেয়ে যাচ্ছে তার জন্যও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।