চৈত্রশেষে দাপট অব্যাহত গরমের, ৪০ ছুঁই ছুঁই শহরে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
চৈত্রশেষে দাপট দেখাচ্ছে গরম। রেকর্ড গড়ে আগামী দু’দিনেই ৪০ ছুঁতে পারে শহরের তাপমাত্রা। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। উপরন্তু আর্দ্রতা বেশি থাকায় বাড়বে অস্বস্তিও।
কলকাতা, ১১ এপ্রিল : চৈত্রশেষে দাপট দেখাচ্ছে গরম। রেকর্ড গড়ে আগামী দু'দিনেই ৪০ ছুঁতে পারে শহরের তাপমাত্রা। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। উপরন্তু আর্দ্রতা বেশি থাকায় বাড়বে অস্বস্তিও। প্রখর রোদে দগ্ধ দিনে তাই ঘর থেকে বের হন সাবধানে। সতর্ক করে দিয়েছে খোদ আবহাওয়া দফতর।
ভ্যাপসা গরমে দিনভর নাজেহাল হতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। আপাতত দু'দিন কোনও পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে না। তবে উত্তরবঙ্গে কম হলেও বৃষ্টি হবে। মিলবে স্বস্তি।
ক'দিন কাটছিল মেঘ আর মেঘলা ভাঙা রোদে। তীব্র গরম ছিল ঠিকই। কিন্তু গরমের ভয়াবহতা ছিল না ততটা। মঙ্গলবার আলিপুর হাওয়া অফিস যা শোনাল, তাতে ফের তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে ৪৫ ডিগ্রি পেরিয়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। চৈত্রশেষেই যদি ৫০ ছুঁই ছুঁই তাপমাত্রা হয়, তবে বৈশাখে কী হবে পরিস্থিতি! দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ প্রতিবেশী জেলাগুলির অবস্থা আরও করুণ।
শুধু আবহাওয়াবিদরাই নন, সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরাও। এই সময় ঠান্ডা-গরমে সর্দিকাশি, জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। সকালের দিকে যতটা সম্ভব রোদে বের হতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। বের হলে মাথায় টুপি বা ছাতা। সানগ্লাস আবশ্যক। ঘন ঘন খেতে হবে ডাবের জল।
কিন্তু কেন এই অবস্থা আবহাওয়ার? আবহাওয়াবিদদের ব্যাখ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে থাকা নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে। এর জেরেই ভ্যাপসা গরম। তারপর কালবৈশাখীর দেখা নেই। আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘ সৃষ্ঠি হলেও, তা জমাট বাঁধছে না। ফলে গরম হচ্ছে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না।