সেই সিঙ্গুর ছুঁয়েই অন্তিম যাত্রায় গেলেন নিরূপম সেন, শোকযাত্রায় নামল জনতার ঢল
বিনিয়োগকারীর পছন্দের স্থান সিঙ্গুরকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে পতন হয়েছিল তৎকালীন বাম সরকারের। ১০ বছর পর সেই নিরূপম সেনের মরদেহ সিঙ্গুর ছুঁয়েই শেষ যাত্রায় গেল।
রাজ্যের বেহাল শিল্পের ছবির বদল আনার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার মূল্য দিতে হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারকে। বিনিয়োগকারীর পছন্দের স্থান সিঙ্গুরকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে পতন হয়েছিল বাম সরকারের। ১০ বছর পর সেই নিরূপম সেনের মরদেহ সিঙ্গুর ছুঁয়েই শেষ যাত্রায় গেল। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে সিঙ্গুর হয়ে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী অন্তিম যাত্রা করলেন। বুধবার বর্ধমানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল।
তার আগে এদিন সিপিএমের রাজ্য দফতরে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীরা। এরপর মরদের রওনা দেয় বর্ধমানের উদ্দেশ্য। এই পথে তাঁর মরদেহ যায় সিঙ্গুর ছুঁয়ে। বর্ধমান পার্টি অফিস থেকে চার কিলোমিটার হেঁটে শেষ যাত্রায় যায় তাঁর দেহ।
এই অন্তিম শোকযাত্রায় শুধু পার্টি কর্মীরা নন, পা মেলান বর্ধমান এলাকার বহু সাধারণ মানুষ। তাঁদের মধ্যে যেমন ছিলেন কর্মী-সমর্থক, একেবারেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকেও দেখা যায় শোকযাত্রায়। বহুদিন পর সিপিএমের কোনও নেতার প্রয়াণে এই ছবি ধরা পড়ে। যা থেকে ফের প্রাসঙ্গিকতা খোঁজার চেষ্টা করছে বঙ্গ সিপিএম।
এদিন যে লোক পা মিলিয়েছেন, এখন যে সিপিএমের উফর থেকে মানুষের আস্থা, ভাবাবেগ চলে যয়ানি, তা জেনেই আশ্বস্ত হচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৫.১০ নাগাদ সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর। বেশ কিছুদিন ধরেই সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল।
তারপর থেকে অসুস্থ ছিলেন নিরুপম সেন। এছাড়াও কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিরুপম সেন। সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর থেকে হুইল চেয়ার ছিল তাঁর সঙ্গী।