জয় শ্রীরাম শুনে আঁতকে উঠছেন! মঞ্চে উঠে তাহলে মমতার মন্ত্রোচ্চারণ কেন? প্রশ্ন সীতারমনের
মঞ্চ থেকে মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারমন। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্যে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করার পাশাপাশি, জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বাংলার মানুষের দেশভক্তির প্রশংসা করেন তিনি।

মমতার সমালোচনায় সীতারমন
প্রায় প্রত্যেক সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি যে হিন্দুত্বে বিশ্বাস করে তাতে তিনি বিশ্বাস করেন না।
বিজেপির কাছ থেকে তিনি হিন্দুত্ব শিখবেন না বলেও মন্তব্য করেন প্রায় প্রত্যেক সভা থেকেই। এদিন কলকাতায় দলীয় সভা থেকে এই মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন।

বিজেপির মোকাবিলায় প্রচারে বদল
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়, দলীয় কর্মসূচি হোক কিংবা প্রশাসনিক বৈঠক, কিছুটা সময় ধরে মন্ত্রোচ্চারণ করেন তিনি। কোনও কোনও সময় তা পাঁচ মিনিটও হয়ে যায়। এই মন্ত্রের একটার সঙ্গে অপরটার কোনও সম্পর্ক না থাকলেও, তৃণমূল নেতারা আড়ালে আবডালে বলে থাকেন, দিদি আসলে বোঝাতে চান, তিনি বিজেপির থেকে বড় হিন্দু।

তৃণমূলের সমালোচনায় নির্মলা
দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বোসের সমর্থনে রাসবিহারীতে প্রচার সভায় নির্মলা সীতারমনের অভিযোগ, তৃণমূল এখন তুষ্টিকরণ এবং মাফিয়া কংগ্রেসে পরিণত হয়েছে। বাম আমলে হিংসার সঙ্গে তৃণমূল শাসনের হিংসার তুলনা করেন তিনি।

বাংলার মানুষের মধ্যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি, প্রশংসায় নির্মলা
দিন কয়েক আগে প্রচার সভা থেকে ফিরছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখে কয়েকজন জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থামাতেই তারা পালিয়ে যান। এই প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারমন এদিন প্রশ্ন করেন, যাঁরা জয় শ্রীরাম বলছে, তাঁদের কেন গালাগালি করা হচ্ছে। তিনি
আরও বলেন, বাংলার মানুষের মধ্যে দেশ ভক্তি রয়েছে বলেই এটা হচ্ছে।