ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডে কলকাতা যোগ, এনআইয়ের সমন পাঠাল অধ্যাপককে
ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডে কলকাতা যোগ, এনআইয়ের সমন পাঠাল অধ্যাপককে
মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও হিংসার সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ল কলকাতার এক অধ্যাপকের। তাঁকে এনআইএ সমন পাঠিয়েছে মুম্বইয়ে আসার জন্য। যদিও ওই অধ্যাপকের দাবি, তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং কোভিড–১৯ মহামারির জন্য তাঁকে যেন ভিডিও কনফারেন্সেই প্রশ্ন করা হয় বলে এনআইএকে জানিয়েছেন তিনি।
এনআইএ আইআইএসইআরের অধ্যাপক পার্থ সারথি রায়কে সমন পাঠায়। যিনি বন্দি সংহতি সমিতির (পিপিএসসি) পশ্চিমবঙ্গ শাখার আহ্বায়ক। তাঁকে এনআইএ ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ঘটনার জন্য ১০ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে আসতে বলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। অধ্যাপক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি এনআইএকে জানিয়েছি যে আমি যদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই জিজ্ঞাসাবাদে যোগ দিই। এই মহামারি পরিস্থিতিতে আমার কর্তব্যগুলি আমাকে সফরে বাধা দিচ্ছে। আমি উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।’ তরুণ এই বিজ্ঞানী কোভিড–১৯ গবেষণা ক্রিয়া কলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের কলকাতা শাআর অধ্যাপক জানিয়েছেন যে তিনি ওই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে হেনস্থা করছেন। বিজ্ঞানী ও সমাজ কর্মী দাবি করেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই এবং তিনি কোনওদিন পুনের ভীমা কোরেগাঁও স্মৃতিশৌধে যাননি। পার্থ সারথি রায় বলেন, 'এনআইএ আমায় এই মামলার সাক্ষী দেওয়ার জন্য ১৬০ সিআরপিসির অন্তর্গত সমন পাঠিয়েছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমি কোনও ওখানে যাইনি তাই কোনও যোগ নেই ওই ঘটনার সঙ্গে। খবরের কাগজ থেকে পড়ে যেটুকু জানতে পেরেছি এছাড়া আর কিছুই জানি না আমি।’
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার সৃষ্টি হয়। যার একদিন আগে এলগার পরিষদ সম্মিলিত সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তৃতা করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় বহু গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং একজন খুন হয়, যা মহারাষ্ট্রে বড় আকারে দলিত আন্দোলন শুরু হয়।