পেনশন জালিয়াতি! 'দায়' এড়িয়ে ব্যাঙ্কের অভিযোগ দায়ের শুভব্রতর বিরুদ্ধে
মায়ের দেহ আগলে রেখে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে ছেলে শুভব্রত মজুমদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
মায়ের দেহ আগলে রেখে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে ছেলে শুভব্রত মজুমদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এর আগে তদন্তের জন্য একাধিকবার কলকাতা পুলিশের তরফে চিঠি দেওয়া হয় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তারা বিশেষ সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেছিল কলকাতা পুলিশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও প্রশ্ন থেকেই যায়, পর পর তিন বছর কীভাবে ভুয়ো লাইফ সার্টিফিকেট দেখিয়ে পেনশন তোলা হল। কেন ক্ষতি দেখা হল না লাইফ সার্টিফিকেট। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কি এই দায় এড়িয়ে যেতে পারে। সেই প্রশ্নও উঠছে।
৪ এপ্রিল রাত থেকে বিষয়টি বেহালা থানার নজরে আসার পর, লালবাজারের হোমিসাইড শাখা তদন্ত করছিল। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পর থেকে নিউ আলিপুর থানায় এই কাণ্ডের তদন্ত যুক্ত হল।
ইতিমধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে তদন্ত সংক্রান্ত নথি পেয়েছে বেহালা থানা। সূত্রের খবর, সেই নথিতে ২০১৫ থেকে মা বীনা মজুমদারের পেনশন কী ভাবে তোলা হয়েছে, তার তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে দুবার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে। শেষেরটি জমা দেওয়া হয়েছে ২০১৭-র নভেম্বরে। সই জালের বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে। মজুমদার বাড়ির তরফে থেকে বীনা মজুমদার সাজিয়ে কাউকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তথ্য সামনে এসেছিল। যদিও এবিষয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ জালিয়াতি করেছে শুভব্রত মজুমদারই।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের সার্ভি ম্যানেজার ডিপি গুহকে একদফা জেরা করেছে পুলিশ। তবে শুভব্রত-র বাবা গোপাল মজুমদারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।
তবে পাভলব হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনও শুভব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। তাকে জেরা করেই পেনশন তোলার পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখা গিয়েছিল বেহালার জেমস লং সরণির ঘোলসাপুরে। ৩ বছর ধরে বাড়িতে মায়ের দেহ রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ছেলে ও বাবার বিরুদ্ধে। দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপর ছেলেকে পাভলব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাকায় বছর ৩০-এর বাসিন্দা এই মজুমদার পরিবার।