সুইমিং পুলে নেমে তলিয়ে গেলেন ‘লাইফ-সেভার’! জাতীয় সাঁতারুর মৃত্যু রহস্য ঘণীভূত
হেদুয়ার পুনরাবৃত্তি কলেজ স্কোয়ারে। গত বছর সাঁতার কাটতে নেমে হেদুয়ায় তলিয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতা দাস নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। এবার একই ঘটনা কাজল দত্তের ক্ষেত্রেও।
কেউ জলে ডুবে গেলে উদ্ধার করতেন তিনিই। এবার সাঁতার কাটতে নেমে তলিয়ে গেলেন সেই 'লাইফ-সেভার'ই। শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে কলেজ স্কোয়ারের সুইমিং পুলে। ডুবুরি নামিয়ে জাতীয় স্তরের এই সাঁতারুর খোঁজ চলছে। সাঁতারু হওয়া সত্ত্বেও তিনি কেন জলে নেমে তলিয়ে গেলেন তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সুইমিং পুলে নেমে সাঁতার কাটার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেই কারণেই তিনি তলিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সাঁতারুর নাম কাজল দত্ত। বয়স ৬৭। তিনি শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল লাইফ সেভিং সোসাইটির সদস্য ছিলেন। বাংলা মহিলা টিমের কোচিংও করাতে। ক্লাবের কর্মীরা তাঁকে জলে নামতে দেখেছিলেন। কিন্তু কেউ আর তাঁকে উঠতে দেখেননি কলেজ স্কোয়ার সুইমিং পুল থেকে। বাথরুম থেকে তাঁর তোয়ালে, পরণের জামা উদ্ধার করা হয়েছে। এবার হেদুয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটল কলেজ স্কোয়ারে। গত বছর সাঁতার কাটতে নেমে হেদুয়ায় তলিয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতা দাস নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। আর এবার একই ঘটনা কাজল দত্তের ক্ষেত্রেও।
কাজলবাবুর জীবনের রোজনামচা ছিল সকাল ছ'টা নাগাদ উঠে কলেজ স্কোয়ার সুইমিং পুলে চলে আসা। তারপর খানিক শরীর চর্চার পর নেমে পড়তেন সুইমিং পুলে। আধঘণ্টা সাঁতারের পর উঠে আসতেন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই রুটিনেই অভ্যস্ত তিনি। এদিন তাকে দেখতে না পেয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রথমে খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। প্রায় সাড়ে ১১টা নাগায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কেন এত দেরিতে পুলিশকে খবর দেওয়া হল তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে।
এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। তারপরই নামানো হয় ডুবুরি। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে গেলেও দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি সুইমিং পুল থেকে। পরিবারের সদস্যরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই ঘটনা। ক্লাবের কর্তা থেকে সদস্য সবাই হতভম্ব- যিনি এত ভালো সাঁতারা কাটতেন, সাঁতারের প্রশিক্ষক ছিলেন, তিনি এইভাবে তলিয়ে যেতে পারেন কীভাবে?