বাংলা থেকে লড়াই অমিত শাহের! মুকুল রায়ের সম্ভাব্য কেন্দ্রই বা কী, জল্পনা তুঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী নরেদন্দ্র মোদী লড়াই করতে পারেন পুরী থেকে। আর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লড়াই করতে পারেন উত্তর কলকাতা কেন্দ্র থেকে। রাজনৈতিক মহলে এমনই জল্পনা জোরদার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেদন্দ্র মোদী লড়াই করতে পারেন পুরী থেকে। আর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লড়াই করতে পারেন উত্তর কলকাতা কেন্দ্র থেকে। রাজনৈতিক মহলে এমনই জল্পনা জোরদার হয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা কিছু জানেন না। তবে এই সিদ্ধান্ত হলে তারা তাকে স্বাগত জানাবেন এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
২০০৯-এর নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশ থেকে ৮০টির মধ্যে মাত্র ৮ টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪-র নির্বাচনে ফল ঠিক উল্টে যায়। ৭২ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। অনেকেই বলেন এর পিছনে কাজ করেছে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হয়ে যাওয়া নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায়। আর সেই সময় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উত্তর প্রদেশ নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন অমিত শাহ।
এরপর গঙ্গা দিয়ে আনেক জল বয়ে গিয়েছে। উত্তর প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কেন্দ্রে বিজেপির কাজের মেয়াদ সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার চাপ পোহাতে হচ্ছে বিজেপিকে।
সেক্ষেত্রে ওড়িশা কিংবা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ফল ২০১৪-তে কোনও ভাবেই ভাল ছিল না। ওড়িশায় ২১ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল মাত্র ১টি আর বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে ছিল মাত্র ২ টি আসন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বের রাজ্যগুলির দিকে নিজেদের ব্যস্ততা বাড়িয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিসেব ধরলে তৃণমূলের মোকাবিলায় রাজ্যে দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি।
সেক্ষেত্রে এক মন্দির শহর বারাণসী থেকে অপর মন্দির শহর পুরীতে মোদী আসন সরালে সেখানে মোদীর পক্ষে ঝড় উঠতে পারে বলে অনুমান অনেকের। একইসঙ্গে অমিত শাহকে যদি উত্তর কলকাতা আসন থেকে লড়াইয়ে দেওয়া যায় তাহলে চাপে থাকবে তৃণমূল। উত্তর কলকাতাকে বেছে নেওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উঠে আসছে ২০১৪-র নির্বাচনে ওই আসনে বিজেপির দ্বিতীয় স্থানে থাকা। আর ওই কেন্দ্রে প্রচুর সংখ্যক অবাঙালি ভোটারের উপস্থিতি। উত্তর কলকাতা ছাড়াও আসানসোল কেন্দ্রের নামও নাকি ভাবা হয়েছে অমিত শাহের জন্য। আসানসোল কেন্দ্রেও প্রচুর সংখ্যক অবাঙালি ভোটারের উপস্থিতি রয়েছে। তা হলে ওই কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় সরে যেতে পারেন পাশের কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন:লোকসভায় লড়াইয়ে ঋতব্রত-চন্দ্র-বিকাশ! বঙ্গে ৪২-এর তালিকা নিয়ে শুরু জল্পনা]
প্রধানমন্ত্রী যে বারাণসী থেকে লড়াই নাও করতে পারেন তা নিয়ে এমাসের প্রথমের দিকে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়াও বছর ভর বিষয়টি নিয়ে জল্পনা চলছে। আর তার সমর্থনে নানা রিপোর্টও প্রকাশিত হচ্ছে।
আমরা
এর
আগে
আমাদেরই
এক
প্রতিবেদনে
বলেছিলাম
বিজেপির
সম্ভাব্য
তালিকার
কথা।
সেখানে
মেদিনীপুর
থেকে
দিলীপ
ঘোষের
কথা
বলা
হয়েছিল।
যদি
অমিত
শাহ
কলকাতা
উত্তর
থেকে
প্রার্থী
হন
সেক্ষেত্রে
রাহুল
সিনহা
লড়তে
পারেন
উত্তর়বঙ্গের
কোনও
কেন্দ্র
থেকে।
দমদম
কেন্দ্রে
শমীক
ভট্টাচার্যের
নাম
শোনা
গেলেও,
কৃষ্ণনগর
কেন্দ্র
থেকেও
তাঁর
নাম
শোনা
যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে
দমদম
থেকে
লড়াই
করতে
পারেন
রাজু
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষ্ণনগর
কেন্দ্র
থেকে
প্রাক্তন
সাংসদ
সত্যব্রত
মুখোপাধ্যায়ের
পাশাপাশি
জয়প্রকাশ
মজুমদারের
নামও
শোনা
যাচ্ছে।
আবার
মুকুল
রায়ের
নামও
শোনা
যাচ্ছে
সম্ভাব্য
প্রার্থী
তালিকায়
কৃষ্ণনগর
কেন্দ্র
থেকে।
বীরভূম
থেকে
লড়াইয়ের
সম্ভাবনা
রয়েছে
রূপা
গাঙ্গুলির।
দিন কয়েক আগে আমরা বলেছিলেন যাদবপুর থেকে লড়াই করতে পারেন চন্দ্র বসু, আর বোলপুর থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সায়ন্ত্বন বসুর ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়া কেন্দ্রের কথাও। তবে পুরুলিয়া কেন্দ্রের ট্র্যাডিশন বজায় রেখে কোনও মাহাত-কে প্রার্থী করা হতে পারে। ঘাটাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে, প্রাক্তন আমলা তথা প্রাক্তন সাংসদ বিক্রম সরকারকে।
যদিও, এইসব ধরনের জল্পনা তাদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে জানিয়েছে তৃণমূল।