রতনে রতন চেনে, মোদী-শাহরা চিনেছেন মুকুলকে! ফেসবুক-পোস্টে অস্বস্তিতে দিলীপ-রাহুলরা
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা সঠিক মানুষকেই চিনেছেন। যোগ্য লোকের উপরই নির্ভর করেছেন বিজেপির সংগঠন বাড়ানোর জন্য।
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা সঠিক মানুষকেই চিনেছেন। যোগ্য লোকের উপরই নির্ভর করেছেন বিজেপির সংগঠন বাড়ানোর জন্য। মুকুল রায় ছাড়া যে পুরুলিয়ার জনসভায় ওই বিপুল দনসমাগম ঘটানো যেত না, তা কার্যত বুঝিয়েই দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। মোদী-শাহরা আস্থা রেখেছেন সঠিক মানুষটার উপরই। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপে বিজেপির তথকথিত দুই রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হয়েছেন মুকুল রায় অনুগামীরা।
মুকুল অনুগামীরা বলেন, দিলীপ ঘোষদের প্রধান উদ্দেশ্য মুকুল রায়কে আটকানো। সেই কাজটাই সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে করেন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহারা। তাঁরা বলেন, রতনে কিন্তু রতন চেনে। তাই অমিত শাহরা ঠিক লোককেই চিনেছেন। রাহুল সিনহাকে দিয়ে একদিন কিছুই হয়নি। আর দিলীপ ঘোষকে পদে বসিয়েও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই মুকুল রায়ের উপরই তাঁরা ভরসা করছেন।
মুকুল অনুগামীদের এই মন্তব্যে বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভা নিয়ে মুকুল অনুগামীরা চাঁছাছোলা আক্রমণে নেমেছেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে। সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিজেপি কর্মীরাই দাবি করলেন, পুরুলিয়ার বুকে সফল জনসভার পূর্ণ কৃতিত্ব মুকুল রায়ের। সেই কৃতিত্ব খাটো করার জন্য দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহারা নানা মতলব আঁটছেন।
তাঁদের অভিযোগ, মুকুল রায়কে সরিয়ে প্রচার নিতে সামনের সারিতে এগিয়ে এসেছেন দিলীপ ঘোষ রাহুল সিনহারাই। মুকুল রায় অনুগামীরা তা দেখে প্রশ্ন তোলেন- মুকুল রায় উপর মোদী-শাহদের অগাধ আস্থা দেখে বোধহয় মেনে নিতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহারা। যাঁরা পাঁচটা পরিবারকে এক রাখতে পারে না, তাঁরা আবার রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখে! এমন কথাও লেখা হয় এই সোশাল মিডিয়া পোস্টে।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ পুরুলিয়া যে বাড়িগুলিতে পরিদর্শন গিয়েছিলেন, সেইসব পরিবারের সদস্যরা পরের দিন তৃণমূলে যোগ দেন। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির মাহালি পরিবারের মতোই রাজোয়ার পরিবারের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বিজেপিকে প্রত্যাঘাত করে তৃণমূল।
রাহুল সিনহা বলেছিলেন এবার তিন লাখ জন সমাগম হয়েছে, মোদীজি এলে চারগুণ লোক দেব। রাহুল সিনহার এই কথারও কটাক্ষ করেন মুকুল অনুগামী বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের কথায় মুকুল রায় একক দক্ষতায় এতবড় জনসভা করেছেন, তা মেনে নিতে পারছেন না রাহুল সিনহারা। তাঁরাই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলায় ১২ লাখের মাঠ আছে তো?