চলচ্চিত্র উৎসব আসন্ন, ‘কালচারাল হাব’-এর ঢঙে নতুন রূপে সাজছে নন্দন চত্বর
চলচ্চিত্র উৎসবের আগে নতুন সাজে সাজছে নন্দন চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে নন্দন চত্বরকে পুরোদস্তুর ‘কালচারাল হাব' হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
কলকাতা, ৩ নভেম্বর : চলচ্চিত্র উৎসবের আগে নতুন সাজে সাজছে নন্দন চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে নন্দন চত্বরকে পুরোদস্তুর 'কালচারাল হাব' হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। লক্ষ্য স্থির হয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবের আগে নন্দনের সৌন্দর্যায়নের কাজ সম্পূর্ণ করা। সেইমত পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। নন্দন চত্বর আরও সুন্দর করে তোলা এবং দর্শক ও অভ্যাগতদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করার উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজটি দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকে।
শিল্পী ও কারিগরেরা দিনভর কাজ করে চলেছেন নন্দন চত্বরে। তুমুল ব্যস্ততা। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বাংলা আকাদেমি, শিশু-কিশোর আকাদেমি ও চারুকলা পর্ষদ এই তিনটি সংস্থা যাতে যথাযথ গুরুত্ব পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নন্দন চত্বরের পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। ফলে সম্পূর্ণ বদলে যাবে নন্দনের বইঘর। তার আয়তন যেমন বাড়ানো হবে, তেমনই সেখানে একই সঙ্গে মিলবে বাংলা আকাদেমি, তথ্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং চারুকলা পর্ষদের বইপত্র।
চলচ্চিত্র উৎসব বা অন্য কোনও উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট বইপত্র-পুস্তিকাও সেখানে পাওয়া যাবে। ভেতরে বসে বইপ্রেমীরা যাতে বইয়ের পাতা উল্টে দেখতে পারেন, তারও ব্যবস্থা থাকবে। বইঘরের অদূরে যে ট্রান্সফর্মাটি রয়েছে, তাকে ঘিরে চা-কফি ও অন্যান্য খাবার পাওয়া যাবে। নন্দন চত্বরে 'আমন্ত্রণ' নামে রেস্তোরাঁটি বাদে আর যে সব খাবারের দোকান ইতস্তত ছড়িয়ে আছে, সেগুলি সবই আনা হবে ফুড কোর্টের ভেতরে। কোনও উৎসব উপলক্ষে বাড়তি কয়েকটি খাবারের স্টলও তৈরি হতে পারবে তার মধ্যে। অর্থাৎ নন্দন চত্বরে যত্রতত্র আর খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হবে না।
গোটা নন্দন চত্বরে সবুজায়ন করা হচ্ছে। রবীন্দ্র সদনের পাশে যে ঘাসে ঢাকা জায়গাটি রয়েছে, তা আরও মনোরম হয়ে উঠতে চলেছে। আগামী কয়েকদিনেই পুরো জায়গাটি সুন্দর ঘাসের গালিচায় মোড়া হয়ে যাবে। নন্দনের পাশে এক-একটি গাছকে ঘিরে যে গোলাকৃতি বসার জায়গাগুলি আছে, তার নীচ থেকে উপড়ে ফেলা হচ্ছে টালি। ওখানেও থাকবে ঘাসের গালিচা। টাইলস বাঁধানো চলার পথ আরও চওড়া হবে। রবীন্দ্র সদনের সামনে যে ফোয়ারা রয়েছে তা এখন বাইরে থেকে দেখা যায় না। আগামী দিনে যাতে বাইরে থেকে তার শোভা উপভোগ করা যায়, তারও ব্যবস্থা হচ্ছে।