তৃণমূলের সাংসদ হওয়ার দৌড়ে বহু নামের ভিড়, এবার শিকে ছিঁড়বে কার ভাগ্যে
তৃণমূলের সাংসদ পদ বলে কথা, সেখানে একে একে অনেক নাম ভেসে বেড়াচ্ছে। এখন দল কাকে টিকিট দেয় কিংবা কে দলের প্রস্তাবে রাজি হয়, তা-ই দেখার।
পাঁচ পদ, নাম বহু। পদ খালি হওয়ার দু-মাস আগে থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে সেই পদাধিকার নিয়ে। তৃণমূলের সাংসদ পদ বলে কথা, সেখানে একে একে অনেক নাম ভেসে বেড়াচ্ছে। এখন দল কাকে টিকিট দেয় কিংবা কে দলের প্রস্তাবে রাজি হয়, তা-ই দেখার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়েই এখন জল্পনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্য জয়া বচ্চনের নাম নিয়ে চর্চা চলছে কয়েকদিন ধরেই। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অমিতাভ-ঘরণী জয়ারও সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এপ্রিলে। একইসঙ্গে মেয়াদ শেষ হচ্ছে তৃণমূলের পাঁচজনের। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সু-সম্পর্কের সূত্র ধরেই বচ্চন-ঘরণী চাইছেন বাংলা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হতে।
এরই মধ্যে অন্য নামও ভেসে উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কবি-সাহিত্যিক, অনেকেই। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ইন্দ্রাণী হালদার, শুভাপ্রসন্ন, সুবোধ সরকার, নির্বেদ রায়- এমন বহু নাম নিয়ে চর্চা চলছে। তার মধ্যে শুভাপ্রসন্ন, সুবোধ সরকার ও ইন্দ্রাণী হালদারদের তৃণমূলের সঙ্গে দেখা গেলেও প্রসেনজিৎকে রাজনৈতিক কোনও মঞ্চে দেখা যায়নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি অনেক মঞ্চে উপস্থিত থেকেছেন, সেগুলি সবই অ-রাজনৈতিক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও খুব ভালো।
সেদিক দিয়ে এঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন। আবার নাও যেতে পারেন। যে চারজন তৃণমূল সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুকুল রায়, কুণাল ঘোষ, নাদিমূল হক ও বিবেক গুপ্তা। এঁদের মধ্যে প্রথম দুজনের তৃণমূলের টিকিটে পুনরায় সাংসদ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শেষোক্ত দুজনের ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন মুখও যে আসতে পারে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তালিকায়, তা অনস্বীকার্য।
রাজ্যসভায় অপর যে আসনটি বাংলা থেকে খালি হচ্ছে, তা হল সিপিএম সাংসদ তপন সেনের। এবার সিপিএমের যা ক্ষমতা, তাঁদের কোনও প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা নেই। একমাত্র বাম-কংগ্রেস জোট হলেই তাঁদের প্রার্থী জিততে পারে। এই পদের জন্য এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। অবশ্য কংগ্রেস প্রার্থীকে কারও সমর্থন নিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করলে, তাঁর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভোটাভুটি হলে এই আসনেও তৃণমূল প্রার্থী মাত দিতে পারে জটিল অঙ্কে। সেই নিরিখে পাঁচটি আসনে এখন এ রাজ্য থেকে কারা সাংসদ হন, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।