তালিকায় নাম নেই, ভোট দিতে পারেননি রঞ্জিত মল্লিক
অভিনেতা ছাড়া এখন রঞ্জিত মল্লিকের আরও একটি পরিচয় আছে। সেটা হল, তিনি কলকাতার শেরিফ। স্বাভাবিকভাবে তিনি ভোট দিতে না পারায় বিরক্তি জানান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, "৫০ বছর ধরে আমি ভোট দিচ্ছি। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের ফলেই আমি ভোট দিতে পারিনি।" ভোটের আগের দিন বাড়িতে ভোটার-স্লিপ এসে না পৌঁছনোয় তাঁর সন্দেহ হয়। বুথে গিয়ে দেখেন এই কাণ্ড। অবশ্য তাঁর মেয়ে কোয়েল মল্লিক ভোট দিতে পেরেছেন নিঃসন্দেহে।
অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছেলে অর্জুন চক্রবর্তীর নামও ছিল না ভোটার লিস্টে। তাই তিনিও ভোট দিতে পারেননি। ক্ষুব্ধ হয়ে বুথ থেকে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
নাট্যকর্মী কৌশিক সেন ভোটই দিতে যাননি। কেন? কৌশিকবাবুর ব্যাখ্যা, "আমি বামপন্থী ছিলাম, এখনও আছি। কিন্তু সিপিএমের ওপর আমার আস্থা নেই। আবার তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি বা কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই যাইনি।"
টলিউডের অনেক তারকাই অবশ্য নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। যেমন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অভিনেতা বাদশা মৈত্র কামালগাজিতে তাঁর বাড়ির কাছের বুথে গিয়ে সকাল-সকালই ভোট দেন।
প্রসঙ্গত, টলিউডের অনেকেই এবার ভোটে প্রার্থী। তাপস পাল, শতাব্দী রায় ছাড়াও রয়েছেন মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়, দেব প্রমুখ। তাপস পাল ও দেবের কেন্দ্র যথাক্রমে কৃষ্ণনগর ও ঘাটালে ভোট ছিল। তাই তাঁরা সকাল সকাল কলকাতায় ভোট দিয়ে চলে আসেন নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রে। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। দু'জনেই জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এখন শুধুই ১৬ মে-র প্রতীক্ষা।