‘উৎকর্ষ বাংলা’য় ১০৭ চাকরির নিয়োগপত্রে ভুল, এফআইআর দায়ের করল নবান্ন
উৎকর্ষ বাংলায় ১০৭ চাকরির নিয়োগপত্রে ভুলভ্রান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল নবান্ন। পুনরায় যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক সথাকার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
উৎকর্ষ বাংলায় ১০৭ চাকরির নিয়োগপত্রে ভুলভ্রান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল নবান্ন। পুনরায় যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক সথাকার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন নিয়োগপত্রে ভুলভ্রান্তি দূর করে পুনরায় হুগলির ১০৭ জন প্রার্থীকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, ১০৭ জনের নিয়োগ বিভ্রান্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো নিয়োগপত্র বলে প্রচার করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা রটনা করে রাজ্যে সরকারের ভাবমূর্তি কলুষিত করা হচ্ছে। নবান্নের তরফে সাফ জানানো হয়েছে একটা বড় কর্মযজ্ঞ চলছে। তাই একটা-আধটা ভুল হতে পারে। তবে এই ভুল রাজ্যের নয়। এই ভুল এগ্রিগেটরের।
মুখ্যসচিব বলেন, আমরা এই ভুল নিয়োগপত্র নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কিছু না হয়, তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উৎকর্ষ বাংলায় ১১ হাজার নিয়োগপত্র বিলিতে ১০৭ জনের নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি হয়। এদিন সেই নিয়োগ নিয়েই জবাব দিল নবান্ন।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বলেন, এই নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ করছে সিআইআই এবং ন্যাসকম রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। গুরগাঁওয়ের এক এগ্রিগেটরের ভুলে নিয়োগপত্রে ভুল হয়েছিল। তার ফলে ওই এগ্রিগেটরের বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এফআইআর দায়ের করে সিআইআই। মুখ্যসচিব নিশ্চিত করেন, ওই ১০৭ জনের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেব না আমরা। ওদের একটা নয়, একাধিক জব অফার করেছি আমরা।
একইসঙ্গে তাঁরা জানান আমরা এ ঘটনা থকে শিক্ষা নিয়ে পরেরবার খতিয়ে দেখে নিয়োগপত্র বণ্টন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলেও ব্যাখ্যা করেন। তবে এই ঘটনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে যেভাবে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তির চেষ্টা করা হচ্ছে তা নিন্দনীয়। এদিন মুখ্যসচিব সাফ জানান, উৎকর্ষ বাংলায় রাজ্য সরকরা কোনও চাকরি অফার করছে না। সরকার শুধু একটা চাকরির প্লাঠফর্ম তৈরি করে দিয়েছে মাত্র। এই প্লাটফর্মকে কেন্দ্র করে বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের কর্মী নিয়োগ করছে।
দ্বিবেদী আরও বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্য কর্মসংস্থানের দিশা দিতে এই উদ্যোগ নেএয়া হয়েছে। তারপর বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে তৈরি হয়েছে প্রচুর আইআইটি। প্রচুর পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হয়েছে। ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গায় ট্রেনিং নিয়ে সর্বভারতী স্তরে শীর্ষ স্থান পাচ্ছেন অনেকে।