মমতার কায়দায় এগচ্ছেন মুকুল ! জার্সি বদলে টার্গেট এবার ‘মিশন ২০১৯’
কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যে পদ্ধতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিজের চোখে দেখেছেন তৎকালীন তৃমমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়।
কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যে পদ্ধতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিজের চোখে দেখেছেন তৎকালীন তৃমমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়। এবার সেই পদ্ধতিই তিনি প্রয়োগ করতে চাইছেন তাঁর নতুন দল বিজেপির সংগঠন বাড়াতে। একে একে পুরনো দল ভেঙে ঝাঁঝরা করে দিতে শুরু করেছেন মুকুল রায়।
দল ভাঙতে সিদ্ধহস্ত
মুকুল রায় সম্প্রতি তিন নেতাকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন। তাঁদের দুজন তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। একজন ছিলেন কংগ্রেসে। এই অবস্থায় তিনি পুরনো দলকে ভাঙতে সিদ্ধহস্ত। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের নিচুতলায় ভাঙন ধরে গিয়েছে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর নির্বাচনোত্তর পর্বে উপরতলায় ভাঙন ধরবে।
২০-২২-এর খেলা
একইসঙ্গে তিনি জানান, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ২০টির বেশি আসন পাবে না। বাকি ২২টি আসন বা তার থেকে বেশি যে সমস্ত আসনে তৃণমূল জিততে পারবে না, সেইসব এলাকা থেকেই তৃণমূলের ভাঙলের সূত্রপাত হবে। তাঁর অঙ্ক, যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল লিড পাবে না, সেইসব বিধায়কদের দলবদলের সম্ভাবনা তৈরি হবে। তাঁরা দলবদল করে বিজেপিতেই নাম লেখাবেন।
লক্ষ্যে ২০২১
এ বিষয়ে যুক্তি, সবাই ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে চায়, ক্ষমতা পেতে সবাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসবে। আর এভাবেই তৃণমূল ক্রমশ ভেঙে পড়বে। ২০২১-এ তৃণমূলের হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ। তাঁর অঙ্ক বলছে, এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার ভেঙে গিয়ে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
দলবদলের খেলা
এটাকে দলবদলের একটা খেলা বলেই ব্যাখ্যা প্রাক্তন তৃণমূলী মুকুল রায়ের। তিনি বলেন, এই ধরনের দলবদল আগেও হয়েছিল রাজ্যে। আবারও হবে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে বিরোধীরা ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল, একইভাবেই তাঁরা শেষ হবে বলে ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছেন মুকুল রায়।
শুধু জার্সি বদলেই কিস্তিমাত
মুকুল রায় নিজে হাতে এই কাজ করেছিলেন তৃণমূলের জার্সিতে। এখন গেরুয়া জার্সি পরেও একই খেলা খেলতে তাঁর অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেননা ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য রাজ্যে খাতা থুলেছিল তৃণমূল। বিশেষ করে ত্রিপুরায় এর প্রভাব পড়ে। আবার মুকুল বিজেপিতে যাওয়ার পর সেই তৃণমূল নেতারাই বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ফেলেন। পুরোপুরি ঘুরে যায় রাজনৈতিক চিত্র।