তৃণমূলের দু’নম্বরই বিজেপিতে এক নম্বর! ধর্মতলা দেখাল রাজ্যে এবার মমতা বনাম মুকুল
তৃণমূলে মুকুল রায় ছিলেন অলিখিত দু’নম্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মুকুল রায়ই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ। সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে দুই থেকে ২০০ নম্বরে নেমে যান!
রাজ্যে মুকুল রায়কে বিজেপির মুখ হিসেবে তুলে ধরাই ছিল অমিত শাহদের মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার ধর্মতলার জনসভায় আত্মপ্রকাশ করলেন মুকুল রায়। বিজেপির রাজ্য পর্ষবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন বুঝিয়ে দিলেন, 'মুকুল রায়ই রাজ্য বিজেপির মুখ হতে চলেছেন। অচিরেই কংগ্রেস-সিপিএমকে টপকে বিরোধী নেতার ভূমিকা নেবেন মুকুল রায়। শুধু বিজেপিরই নয়, রাজ্যের মুখ হয়ে উঠবেন তিনি।'
তৃণমূলে মুকুল রায় ছিলেন অলিখিত দু'নম্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মুকুল রায়ই ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ। সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে দুই থেকে ২০০ নম্বরে নেমে যান! শেষমেশ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি রাজ্যে দলের মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন। তিনিই বিজেপিতে এক নম্বর প্রথম দিন থেকেই। তাঁকে আবর্ত করেই ধর্মতলার সভা তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
মুকুলের এই 'প্রত্যাবর্তন' মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ১২ জন। রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন স্থির করে দিয়েছিলন তা। এদিন বিজেপির মঞ্চে শেষ চার বক্তা ছিলেন রাহুল সিনহা, দিলীয় ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। সর্বশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য বেশ করবেন মুকুল রায়। ফাইল হাতে নিয়ে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েই রেখেছিলেন।
এই
ধর্মতলাতেই
একুশে
জুলাইয়ের
মঞ্চে
তাঁকে
কাঠের
পুতুল
করে
রেখে
দিয়েছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর
সামনেই
ভাইপো
অভিষেককে
তুলে
ধরেছিলেন
ভবিষ্যতের
মুখ
হিসেবে।
অথচ
তাঁকে
বক্তব্য
রাখতে
দেওয়াই
হয়নি।
সেদিনেু
অপমানের
বদলা
নেওয়ার
সুযোগ
এদিন
মুকুলের
সামনে।
ফাইল
হাতে
তিনি
তৈরি
তৃণমূলকে
পাল্টা
দিতে।
মুকুল
রায়
চাইছেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিদেশ
সফরের
আগে
তাঁকে
বার্তা
দিতে।
কৈলাশ
বিজয়বর্গীয়
যেটা
চাইছেন,
তা-ই
করতে
চলেছেন
মুকুল
রায়।
বিজেপির
মুখ
হয়ে
উঠতে
মমতাকে
চ্যালেঞ্জ
ছুড়ে
দেন
ধর্মতলার
মঞ্চ
থেকে।
এদিন
ধর্মতলায়
'তৃণমূল
তোষণ
ছাড়ো'র
মঞ্চ
বুঝিয়ে
দেয়
এবার
রাজ্যে
মমতার
সঙ্গে
সরাসির
লড়াই
মুকুলেরই।