আমার ‘ক্যাপ্টেন’ দিলীপ ঘোষ, মুকুল বোঝালেন বিজেপিতেও তিনিই ‘কিং-মেকার’
মুকুল রায় দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের সম্পর্ক নিয়ে চাপান-উতোর চলছিল। মুকুল রায় দমদম বিমানবন্দরে পা রাখার পরই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে।
'সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অমিত শাহ সর্বাধিনায়ক, বাংলায় আমার 'ক্যাপ্টেন' দিলীপ ঘোষ।' গেরুয়া নামবলী গায়ে জড়ানোর পর প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতরে পা দিয়েই সগর্বে ঘোষণা করলেন মুকুল রায়। তিনি জানিয়ে দিলেন, 'বাংলায় দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে আমি কাজ করব। দিলীপদার নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। বাংলায় পরিবর্তন আনবে।'
মুকুল রায় দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের সম্পর্ক নিয়ে চাপান-উতোর চলছিল। মুকুল রায় দিলীপ ঘোষকে ফোন করে পুরো পরিস্থিত সহজ করার চেষ্টা করলেও, আদতে দিলীপ ঘোষ তাঁর অবস্থানে অনড় ছিলেন। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে পা রাখার পরই কিন্তু পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বয়ং গিয়েছিলেন মুকুল রায়কে স্বাগত জানাতে। বিজেপি কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে বিজেপি রাজ্য দফতরে আসেন মুকুল রায়। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রথমে দিলীপের মুকুল বন্দনার পরই মাইক্রোফোন তুলে নেন তৃণমূলের প্রাক্তন সেনাপতি। তিনি বলেন, বিজেপির অভ্যর্থনা-অভিনন্দনে আমি আপ্লুত। বাংলায় আমার ক্যাপ্টেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, এদিন কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরব না। আগামী ১০ নভেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে সমাবেশ। আমার অনেক কিছু বলার আছে। রাজনৈতিক বক্তব্য রাখব সেদিনই। তবে তিনি জানান, ভারতীয় জনতা পার্টি যেভা্বে কাজ করছে বাংলার পরিবর্তন অবশ্যই হবে।
মুকুল রায়ের ব্যাখ্যা, দেশের ১৩টি রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, ৬ রাজ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী। হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাটে ভোটেও এবার পদ্মফুল ফুটবে। এরপর বাংলা ও ওড়িশাতেও ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কারণ বিজেপি-ই বাংলায় একমাত্র বিকল্প। বাংলায় যে পরিবর্তন চেয়েছিলাম, সেই পরিবর্তন আসেনি। তাই পুনরায় পরিবর্তন দরকার। তিনি এদিন তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান, প্রকৃত পরিবর্তন চাইলে বিজেপিতে আসুন। তাঁর কথায়, ধর্মযুদ্ধে পাণ্ডবরাও লড়েছিল কৌরবদের বিরুদ্ধে।
আর দিলীপ ঘোষ বলেন, মুকুলদার আগমনে বাংলার রাজনীতিতে ভূমিকম্প হল। আমরা একসঙ্গে কাজ করার শপথ নিচ্ছি। বিজেপিতে মুকুল রায়কে স্বাগত। বিজেপির সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক বহু পুরনো। আজ তা আর কাছের হল। এবার বাংলায় পরিবর্তন আসবেই।