সারদা-রোজভ্যালি থেকে মালিয়া-নীরবে রয়েছে তফাৎ! মমতাকে আক্রমণ মুকুলের
২০১৯, ২০২০ না ২০২১। তৃণমূলের এক্সপায়ারি ডেটটা কবে আসবে, তা বাংলার মানুষ বিচার করবে। বলেছেন মুকুর রায়।
২০১৯, ২০২০ না ২০২১। তৃণমূলের এক্সপায়ারি ডেটটা কবে আসবে, তা বাংলার মানুষ বিচার করবে। ব্রিগেডের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মোদী সরকারের এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই মুকুল রায়ের এই মন্তব্য। সভার আয়োজনে কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুকুল রায়।
মমতার অভিযোগ, মুকুলের জবাব
ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, দেশব্যাপী সিবিআইকে ব্যবহার করছে সরকার। মুকুল রায় উদাহরণ দিয়ে জানান, মায়াবতী এবং লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র সময়ে। সারদা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল ইউপিএ আমলেই। বলেছেন মুকুল রায়।
আগে সিবিআই দাবি, এখন নয় কেন
রাজ্যে বাম শাসনের সময়ে কিছু ঘটলেই সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, সব কিছুতেই সিবিআই দাবি করতেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সব রেকর্ডও রয়েছে। জানিয়েছে মুকুল রায়। এখন সেই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছেন। কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়।
নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া সারদা-নারদা থেকে আলাদা
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুকুল রায় বলেছেন, নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে সারদা-নারদা থেকে আলাদা। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্র ব্যবস্থা নিয়েছে। এঁদের জন্য গরিব মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে মনে করেন মুকুল রায়। কিন্তু সারদা-নারদায় সরাসরি রাজ্যে গরিব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বলেছেন মুকুল রায়।
কর্মসংস্থান নিয়ে মমতাকে পাল্টা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে কর্ম সংস্থানও। এপ্রসঙ্গে মুকুল রায়ের প্রশ্ন রাজ্যে কত কর্ম সংস্থান হয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
ব্রিগেডের সভায় কত কোটির খরচ হল তা প্রকাশের দাবি করেছেন মুকুল রায়। রাজ্যে শিল্পে কতকোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, তার জন্য শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছেন মুকুল রায়।