মমতা ক্ষমতায় থাকলে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে, একরাশ দৃষ্টান্ত টেনে তোপ মুকুলের
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে রাজ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বলেছিলেন রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান হলেও, প্রকৃত পরিবর্তন আসেনি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে রাজ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বলেছিলেন রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান হলেও, প্রকৃত পরিবর্তন আসেনি। প্রকৃত পরিবর্তন আনবেন তাঁরাই। এবার তিনি বললেন ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে, যদি অত্যাচারীরাই শেষ কথা বলে। তা কোনওদিনও হয়নি, হবেও না।
বাংলায় গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন
মুকুল রায় বলেন, এই মুহূর্তে বাংলার বুকে বড় প্রশ্ন গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। সেই প্রশ্ন নিয়েই আমাদের আলোচনা। তাই আমাদের যাত্রার নাম গণতন্ত্র বাঁচাও কমিটি। তিনি এদিন মমতার সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, আমি এর আগে জ্যোতি বসুর সরকার দেখেছি, দেখেছি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সরকার। কিন্তু এমন স্বৈরাচারী সরকার আগে দেখিনি।
ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে
মুকুল রায় এদিন মমতার সমালোচনার মুখর হয়ে বলেন, এর আগে হিটলার পারেননি, পারেননি মুসোলিনিও, আর পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ ইতিহাস কখনও অত্যাচারীদের রেয়াত করেনি। মমতা যদি শাসন ক্ষমতায় রয়ে যান, তবে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে।
শেষের শুরু তৃণমূলের
মুকুল রায়ের কথায়, বাংলায় তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা ভয় পাচ্ছে। তাই তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। এইসব পরিকল্পিত বাধাই প্রমাণ করছে, আর বেশি দিন নয়, রাজ্যে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে বিজেপিই আসতে চলেছে ক্ষমতায়।
[আরও পড়ুন:বাংলা থেকে লড়াই অমিত শাহের! মুকুল রায়ের সম্ভাব্য কেন্দ্রই বা কী, জল্পনা তুঙ্গে]
পুলিশরাজ চলছে বাংলায়
এই পরিপ্রেক্ষিতেই মুকুল রায় বিষ্ণুপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, রাজ্যে এখন পুলিশ রাজ চলছে। সেই কারণেই কোথাও সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই তো বিষ্ণুপুরের লজে সভা ছিল, তাতে বাধা দিল এসডিপিও। এঁরা সব আগে সিপিএম করত, এখন তৃণমূল হয়েছে। বড় ভক্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এটাই এখন পুরো বাংলার পুলিশি ব্যবস্থার ছবি।
[আরও পড়ুন:বিজেপির 'একতার দৌড়'-এর ডাকে সামিল দিলীপ থেকে নির্মলা, দেশ জুড়ে গেরুয়া শিবিরের মিছিল]