খাসতালুকে গোহারা হয়ে গান্ধীগিরি! মুষড়ে না পড়ে মুকুল রায় অবাক করলেন
রাজ্যে দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে হেরে ল্যাজেগোবরে হয়েছে বিজেপি। তবে তারা মুসড়ে পড়তে চান না। তাই গান্ধীগিরির রাস্তায় হেঁটে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন বিজেপি নেতারা।
খাসতালুক নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে গোহারা হয়েছেন মুকুল রায়। আবার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ের ব্যবধান নিয়ে গিয়েছে আকাশ ছোঁয়া পর্যায়ে। দুই কেন্দ্রেই ভোটে হেরে ল্যাজেগোবরে হয়েছে বিজেপি। তবে তারা মুষড়ে পড়তে চান না। তাই এবার গান্ধীগিরির রাস্তায় হেঁটে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন বিজেপি নেতারা।
শুক্রবার রাজ্যের শাসক দলের ভোট লুঠ ও নির্বাচন কমিশনের নিস্পৃহতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গান্ধীগিরির রাস্তায় হাঁটলেন। নির্বাচন কমিশনে মিষ্টি পাঠালেন মুকুল রায়-রা। বিজেপি নেতারা গিয়ে নির্বাচনী আধিকারিকদের মিষ্টি মুখ করিয়ে এলেন। এই মিষ্টি মুখ করানোর মাধ্যমে বিজেপি তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা জারি রাখলেন অভিনব উপায়ে।
গেরুয়া শিবির ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই অভিযোগ করে আসছিল, উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুঠ আর রিগিং করে জিতেছে তৃণমূল। আর বিজেপি তৃণমূলের ভোট-সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে বিজেপি আরও ভালো ফল করত। এমনকী দুই কেন্দ্রেই জিততে পারত গেরুয়া শিবির।
সেই যুক্তি খাড়া করেই নির্বাচন কমিশনারের অফিসে গিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে গান্ধীগিরি দেখিয়ে এলেন বিজেপি নেতারা। মুকুল রায়ের কথায়, '২০১১ সালের আগে যত নির্বাচন হয়েছে সমস্ত নির্বাচনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করতেন, রাজ্যে ভোট হয় না, প্রহসন হয়।' আর এখন বলছেন, 'জনগণের রায়কে অপমান করা হচ্ছে। নিজের বেলায় মনে হচ্ছে না রাজ্যে ভোট লুঠ চলছে।'
এদিন রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুকুল রায়। শাসক দলের এই ভোট লুঠ ঠেকাতে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে মিষ্টির হাঁড়ি পাঠিয়ে। রাজ্যে বিজেপি ভোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই রাস্তায় হেঁটে তাঁদের প্রতিবাদ জারি রেখেছে।