নারদে একই দিনে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটকে জেরা, শুধু বাকি রইলেন মদন
একই দিনে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা নারদকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার মুখোমুখি হলেন। সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়েই তাঁর পৌঁছে যান গোয়েন্দা দফতরে।
একই দিনে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা নারদকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার মুখোমুখি হলেন। সিবিআই দফতরে হাজির হলেন সাংসদ মুকুল রায়। আর পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মুখোমুখি হলেন ইডি আধিকারিকদের জেরার। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়েই তাঁরা সোমবার সকালে সিবিআই ও ইডি দফতরে হাজিরা দেন। এখন শুধু নারদকাণ্ডে মদন মিত্রকে তলব করা বাকি রইল।
রবিবার রাতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল মুকুল রায়কে। তিনি কালক্ষেপ না করে সোমবার নির্ধারিত সময়ের আগে নিজাম প্যালেসে হাজির হয়ে যান। তারপর সিবিআই আধিকারিকরা নারদকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে জেরা শুরু করেন। তাঁর বয়ানও এদিন রেকর্ড করা হয়।
অন্যদিকে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে প্রায় একমাস আগে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি তখন ইডি আধিকারিকদের ডাকে সাড়া দেননি। অবশেষে এদিন হঠাৎ করে হাজির হয়ে যান সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে। তারপরই ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
এদিন দু-জনকেই নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে জেরা করা হয়। নারদ ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। কিন্তু ফুটেজে তাঁকেও দেখা গিয়েছিল। তিনি নারদ সিইও ম্যাথু স্যামুয়েলসকে বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জার সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। এরপর মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। মির্জা তাঁর নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এর আগে মির্জাকে সিবিআই ও ইডি দফায় দফায় জেরা করেছিল। তখন তাঁর বয়ানের সঙ্গে মুকুল রায়ের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা। এদিন আবার শুভেন্দু অধিকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন নারদে অভিযুক্তদের মধ্যে তলব করতে বাকি রইলেন শুধু মদন মিত্র। বাকিদের সবাইকেই তলব করা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সবাইকেই জেরাও করেছেন গোয়েন্দারা।