আইনি-যুদ্ধে মুখ পুড়ল তৃণমূলের! হাইকোর্টের রায়কে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয় বলছেন মুকুল
বিজেপির পক্ষে আইনজীবী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুকুল রায়- সবার মুখেই এক কথা। এই জয় গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ধাক্কা খেয়েছে নির্বাচন কমিশনও। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের জয়, গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয় বলে ব্যাখ্যা করল বিজেপি।
[আরও পড়ুন:পার্টিই বয়কট করল পঞ্চায়েত নির্বাচন, শাসকের বিরুদ্ধে শোষকের নীরব প্রতিবাদ ]
বিজেপির পক্ষে আইনজীবী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুকুল রায়- সবার মুখেই এক কথা। এই জয় গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয়। হাইকোর্টের এই রায়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশন মুতোর জবাব পেয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফিরিয়ে দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চে। আদতে ডিভিশন বেঞ্চ রিজেক্ট করেছে শাসক দলের মামলা। একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে একের পর এক মামলা। বিজেপির তরফে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলা করেছিল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআইও। মামলা করেছিল সরকারি কর্মচারী সংগঠনও। আবার ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিও মামলা করে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের আবেদন জানিয়েছিল।
সব মিলিয়ে একাধিক মামলার ফাঁসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে। এদিন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ভোট প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ আরও একদিন বাড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে দুপুর দুটোয়। আর ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা পাঠিয়ে দিল সিঙ্গল বেঞ্চে।
এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চেই শুনানি হবে। সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণঁ তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপির পক্ষে মুকুলবাবুর দাবি, সিঙ্গল বেঞ্চকে ভায়োলেট করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল শাসক দল। তা য়ে ভুল ছিল, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এদিন সেই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে তা বুঝিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর। সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন প্রক্রিয়া। এদিন আরও একদিন বৃদ্ধি হল স্থগিতাদেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী ১ মে ভোট হওয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা।
এখন ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ার এহেন পরিস্থিতিকে নিজেদের জয় এবং শাসকের হার বলেই মনে করছে বিজেপি-কংগ্রেস বা সিপিএম। তিন পার্টিই এই রায়ে খুশি। এখন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ কী রায় দেয় মঙ্গলবার, তার উপরই নির্ভর করে আছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ।
[আরও পড়ুন: এগিয়ে এলেন মমতা-মোদী উভয়েই! কুণালের ডাকে ইতিবাচক সাড়ায় বাঁচল অসহায় প্রাণ]