মুকুল এখন বঙ্গ বিজেপি ‘বস’! দিলীপ-রাহুলকে মেনে চলতে নির্দেশ অমিত শাহের
দিলীপ ঘোষ হতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আবার রাহুল সিনহা হতেই পারেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক। কিন্তু দুজনের কেউই যে এখন বাংলা বিজেপির ‘প্রধান’ নন, তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
দিলীপ ঘোষ হতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আবার রাহুল সিনহা হতেই পারেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক। কিন্তু দুজনের কেউই যে এখন বাংলা বিজেপির 'প্রধান' নন, তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দরকার পড়লে দিলীপ-রাহুলদের এখন থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অমিত শাহ।
কথা বলুন মেপে
তাঁর সাফ জবাব, কোনও বাড়তি কথা নয়। কথা বলতে হবে মেপে। আর কী বলতে হবে, প্রয়োজনে সে ব্যাপারে আলোচনা করে নিতে হবে মুকুল রায়ের সঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে বাংলায় গুরুত্ব বেড়ে গেল মুকুল রায়ের। পদ না পেয়েও তিনিই হয়ে গেলেন বঙ্গ বিজেপির অভিভাবক।
মুকুলের সঙ্গে আলোচনা
প্রথম বাঙালি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এই তাঁর ‘অপরাধ'। ব্যস, ফের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোষানলে তিনি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদি কিছু বলতে হয়, তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বলতে হবে।
না-খুশ অমিত
অর্থাৎ মুকুল রায়কে একপ্রকার দিলীপ ঘোষের মাথার উপর বসিয়েই দিলেন অমিত শাহ। বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্যে বেশ না-খুশ অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষকে তো বটেই, রাহুল সিনহাকেও মুকুল রায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে চলার কথা বলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৪১ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে ২০১৯-এ! জ্যোতি বসুকে চ্যালেঞ্জ জানালেন মমতা]
ঘাড় নেড়ে সম্মতি
দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও মুকুল রায় বাংলার মুখ হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। স্বয়ং মোদী তাঁর বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন। তারপর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে নিলেন মুকুল রায়। এমনকী অমিত শাহ যখন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাদের পরামর্শ দিয়েছেন মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলে নিতে, তখন তাঁরা ঘাড় নেড়ে সম্মতিও দিয়েছেন।
[আরও পডুন:২০১৯-এ দিল্লির তখতে কে, জোট চূড়ান্ত করার পর জন্মদিনেই ‘সেরা তোফা' মায়াবতীর]