বিজেপিতে নতুন ‘পরিচয়’ পেতে চলেছেন মুকুল! সাত মাস পরীক্ষার পর বরাদ্দ কোন পদ
শেষপর্যন্ত বিজেপিতে পদ পেতে চলেছেন মুকুল রায়। বিজেপিতে আসার পর কেটে গিয়েছে সাত মাস। আজও তিনি পদহীন। নামের আগে বিজেপি নেতা ছাড়া আজ পর্যন্ত কিছুই বসেনি।
শেষপর্যন্ত বিজেপিতে পদ পেতে চলেছেন মুকুল রায়। বিজেপিতে আসার পর কেটে গিয়েছে সাত মাস। আজও তিনি পদহীন। নামের আগে বিজেপি নেতা ছাড়া আজ পর্যন্ত কিছুই বসেনি। অথচ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি কত বড় পোস্টেই না ছিলেন! কিন্তু সেসব অতীত। এতদিনে মুকুল রায়ের পদ-সংকট মিটতে চলেছে।
মুকুল রায় ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তারপর গুরুত্ব কমতেও নেহাত কম বড় পদে ছিলেন না তৃণমূলে। ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি। সেইসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ। আর বিজেপিতে গিয়ে 'ভাঁড়ে মা ভবানি'। কোনও পদেই নেই। বড় জোর তাঁকে বলা যেত বঙ্গ বিজেপির মুখ। নইলে বিজেপি নেতা।
এইবার মোদী-অমিত শাহদের দাক্ষিণ্যে তিনি পেতে চলেছেন নয়া পদ। না, রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ তাঁর ভাগ্যে জুটছে না। তিনি পেতে চলেছেন জাতীয় সম্পাদকের পদ। রাজ্য থেকে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি কেন্দ্রীয় এই পদ পেতে চলেছেন। মুকুল রায়ের আগে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে এই সাম্মানিক পদ দেওয়া হয়েছিল। এবার রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক হচ্ছেন মুকুল রায়ও।
বিজেপির একাংশ ভেবেছিল, দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন মুকুল রায়। বঙ্গ বিজেপির একাংশও চাইছিল মুকুল রায়কে বিজেপি সভাপতি করতে। আবার একটা বড় অংশ দিলীপ ঘোষের পক্ষেই সওয়াল করছিল। আবার একটি অংশ রাহুল সিনহার পক্ষেই ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছিল। কেউ কেউ চাইছিল শমীক ভট্টাচার্যের মতো কাউকে রাজ্য বিজেপির মাথায় বসাতে।
কিন্তু মোদী-অমিত শাহ চাইছিলেন অন্য। চাইছিলেন এমন একজনকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে বসাতে যিনি রাজ্য বিজেপির সমস্ত লবিকে এক বিন্দুতে আনতে পারেন।
তাই দিলীপ, মুকুল, রাহুল বা শমীক ভট্টাচার্যের মতো কাউকে না এনে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাকে আনতে চাইছেন বাংলা বিজেপির দায়িত্বে। আর মুকুল রায়ের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে অন্য সাম্মানিক পদ। যে পদে থেকে তিনি সম্মানও পাবেন, আবার তাঁর মত ব্যক্ত করার মতো জায়গাতেও থাকতে পারেন। পারেন সাংগঠনিক প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাতে।
মুকুল রায় গত বছর নভেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই থেকেই ছিলেন পদহীন নেতা। তাঁর ব্যক্তিুগত সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাঁকে কোনও পদ দেয়নি। তাঁকে সাংসদ করা হতে পারে, কিংবা মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে এমনও জল্পনা চলেছিল। কিন্তু কোনও কিছুই পাননি মুকুল। এবার কেন্দ্রীয় বিজেপির সম্পাদকের পদ পেয়ে তাঁরা সেই পদের খরা কাটতে চলেছে। তবে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদও পেতে পারেন।