মুকুলের গুরুত্ব বাড়ল বিজেপিতে, লোকসভা ভোটের আগে ‘পুরস্কার’ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম দলে গুরুত্ব বাড়ল মুকুল রায়ের। এখনও পদ না পেলেও তিনি বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম দলে গুরুত্ব বাড়ল মুকুল রায়ের। এখনও পদ না পেলেও তিনি বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন। একইসঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৮ ও ১৯ আগস্ট দিল্লিতে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে খুশির খবর পেলেন মুকুল ও জয়।
বাংলা থেকে এর আগে বিজেপির জাতীয় কার্যিনির্বীহী কমিটিতে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, অরুণ হালদার, কমল বেরিওয়াল ও গৌরী সরকার। বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে এবার আরও দুই সদস্য বাড়ল বাংলার। মুকুল রায় ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তর্ভুক্তিতে বাংলার মোট আটজন নেতা জাতীয় কমিটিকে স্থান পেলেন।
সমস্ত রাজ্য থেকে বাছাই করা নেতারা এই বিজেপির কমিটিতে স্থান পান। ফলে এতদিনে বিজেপিতে সেই বাছাই করা নেতার পর্যায়ে এলেন মুকুল রায়। যে মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড ছিলেন। ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনিই বিজেপিতে গিয়ে পদহীন নেতা হয়ে রয়েছেন এতদিন।
২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে তারপর ইতিমধ্যে ন-মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির কমিটির চেয়ারম্যান ছাড়া তাঁর সে অর্থে পদাধিকার মেলেনি। এখন তিনি জাতীয় কমিটির সদস্য হওয়ায় দলে যে মুকুল রায়ের গুরুত্ব বাড়ল, তা অনস্বীকার্য।
অবশ্য এখনও মুকুল রায়ের নামের আগে বিজেপি নেতা ছাড়া বিশেষ কোন পদ ব্যবহার হবে না। তবে দলে গুরুত্ব বৃদ্ধিতে তিনি খুশি। খুশি বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশজি ফোন করে খবরটা দেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে জানানো হয়। তারপরই জয়ের প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এত বড় একটা জায়গা দিয়েছে, আরও ভালো করে কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: 'ভাইপো খুন হলে কী হবে দিদি', বিজেপি নেতার হুমকির পরই এফআইআর তৃণমূলের]