গোয়েন্দা লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে মুকুলের পিছনে! কোণঠাসা হয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই কখনও তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে, কখনও তাঁর পিছনে গোয়েন্দা লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মুকুল রায়ের।
রাজ্যের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল রায়। এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা লাগিয়ে নজরদারি চালানোর অভিযোগ আনলেন তিনি। মুকুলবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই কখনও তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে, কখনও তাঁর পিছনে গোয়েন্দা লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন মুকুল রায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানান, 'হঠাৎই আমার সন্দেহ হয় যে, আমার পিছনে গোয়েন্দা লাগানো হয়েছে। আর সন্দেহ হতেই আমি সজাগ হয়ে যাই। দিল্লিতে হাতেনাতে ধরেও ফেলি দুই 'গোয়েন্দা'কে। তাঁরা প্রতি মুহূর্তে আমার উপর নজর রাখছিলেন, আমি কোথায় যাই, কী করি, আমার সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছেন। -এইসব খবর রাজ্যের শাসকদলকে তাঁরা সরবরাহ করছিলেন।'
মুকুল
রায়ের
মুখে
এই
অভিযোগ
শুনে
রাজনৈতিক
মহলে
তা
নিয়ে
চর্চা
শুরু
হয়েছে।
একাংশর
দাবি,
ফোনে
আড়িপাতা
মামলায়
এর
আগে
মুখ
পুড়েছে
মুকুল
রায়ের।
তিনি
রাজ্য
সরকারের
বিরুদ্ধে
দিল্লি
হাইকোর্টে
মামলাও
করেছিলেন।
সেই
মামলায়
ধাক্কা
খেয়েছেন
মুকুলবাবু।
এখন
তিনি
আবার
নতুন
বিতর্ক
উপস্থাপনা
করছেন,
তাঁর
পিছনে
গোয়েন্দা
লেলিয়ে
দেওয়া
হয়েছে
বলে।
মুকুলবাবু
ফোনে
আড়িপাতা
মামলায়
সিবিআই
তদন্ত
চেয়েছিলেন।
কিন্তু
বিচারপতি
তাঁর
রায়ে
জানান,
'মুকুল
রায়ের
ফোনে
যে
আড়িপাতা
হত,
তাঁর
নির্দিষ্ট
কোনও
প্রমাণ
মেলেনি।
পরে
যদি
এই
সংক্রান্ত
কোনও
বিধিবদ্ধ
প্রমাণ
মেলে
তিনি
ফের
মামলা
করতেই
পারেন।'
এখন
আবার
নতুন
অভিযোগ
খাঁড়া
করছেন
মুকুল
রায়।
তাঁর
পিছনে
গোয়েন্দা
লেলিয়ে
দেওয়ার
অভিযোগ।
তবে
তিনি
এই
অভিযোগ
নিয়ে
আদালতের
দ্বারস্থ
হবেন,
এমন
কোনও
বার্তা
দেননি।
উল্লেখ্য, মুকুল রায় এখন বিজেপিতেও চাপে রয়েছেন। দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে তিনি দলেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তাঁর হাত থেকে কর্তৃত্ব চলে গিয়েছে। এখন রাশ ফের চলে গিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাতে। তিনি তাঁর মনোননীত প্রার্থীদেরই টিকিট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা মেনেও নিয়েছেন। দলের গুরুত্ব হারিয়ে মুকুল রায় তাই আবার পুরনো দলকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছেন তিনি।