বিজেপির অফিসে মুকুলের পৃথক ঘর! তবু বিকল্প অফিসের খোঁজে কেন ‘চাণক্য’
এবার থেকে বিজেপি অফিসে নির্দিষ্ট ঘরেই বসবেন তিনি। তবে এখনও মুকুল রায় নিজের মতো করে আলাদা একটি অফিস পাননি। কেননা নিজাম প্যালেসে আর বসবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কার্যত 'ঘর'-ছাড়া ছিলেন মুকুল রায়। অবশেষে বিজেপি দফতরে তাঁর জন্য আলাদা ঘরের বন্দোবস্ত হল। এবার থেকে বিজেপি অফিসে নির্দিষ্ট ঘরেই বসবেন তিনি। তবে এখনও মুকুল রায় নিজের মতো করে আলাদা একটি অফিস পাননি। কেননা নিজাম প্যালেসে আর বসবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। তাই বিকল্প অফিসের খোঁজ চালাচ্ছেন তিনি। বিশেষ কারণেই এই অফিস দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন নেতৃত্বকে।
[আরও পড়ুন:মুকুলের দলে এই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, মমতার দলের অভিযোগ শুনলে চমকে যাবেন]
বিজেপিতে যোগদানের পরই তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর পৃথক একটি অফিস ঘর দরকার। সেইমতো রাজ্য বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নির্দেশমতোই অফিস ঘরের বন্দোবস্ত হল। সেই ঘরে বসল নেমপ্লেটও। এবার কলকাতার অফিসে গেলে তিনি ওই ঘরেই বসবেন।
বিজেপি অফিসে কেবল তিনজনের জন্য পৃথক ঘরের বন্দোবস্ত ছিল এতদিন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বসতেন আলাদা ঘরে। আলাদা ঘরে বসতেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। আর বসতেন বিজেপির অফিস সেক্রেটারি। তাঁর পাশের ঘরেই বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে মুকুল রায়ের।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝেছিলেন মুকুল রায় যে স্তরের নেতা, তাতে তাঁর জন্য একটা পৃথক ঘর দরকার জরুরি ভিত্তিতে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই অফিসের বন্দোবস্ত করা হয়। দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে এক ঘরে মুকুল রায়ের বসার বন্দোবস্ত করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল না। এতে তাঁর মর্যাদা হানি করা হত।
তাঁর ঘর ঠিক হয়ে গেলেও এখনও তাঁর পদ স্থির করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করেছেন পক্ষকাল অতিবাহিত। এখনও পদহীন হয়ে কাটছে তাঁর। এখন রাজনৈতিক মহলের জল্পনা তিনি কী পদ পান। তবে নয়াদিল্লির খবর, এখনই তাঁকে দলগত কোনও পদ দেওয়া হবে না। তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে। মন্ত্রিত্বও পেতে পারেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা।
এদিকে বিজেপির রাজ্য দফতরে অর্থাৎ ৬ নম্বর মুরলিধর লেনে তাঁর অফিস নির্ধারিত হলেও, তাঁর আরও একটি অফিস দরকার। নিজাম প্যালেসের বিকল্প একটি অফিসের সন্ধান চলছে। তৃণমূলে থাকাকালীনও তৃণমূল ভবনে তাঁর যেমন একটা পৃথক ঘর ছিল, তেমনই নিজাম প্যালেসেও তিনি বসতেন। কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেও তাঁর জন্য একটা আলাদা অফিস ছিল। সম্প্রতি বাইপাসে একটি অফিসে তিনি বসেন বলে জানা গিয়েছে। ওই অফিসেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এবার পাকাপাকি এমন একটা অফিস চাইছেন মুকুল।
[আরও পড়ুন:ডেঙ্গি ইস্যুতে দিল্লিতে বিজেপির মুখ মুকুল, কেন এমন সিদ্ধান্ত অমিত শাহদের, জেনে নিন]