বিজেপিতে গিয়েও রক্ষে নেই! সারদা-নারদের পর খুনের অভিযোগে গ্রেফতারির শঙ্কা মুকুলের
সারদা-নারদের খাঁড়া ঝুলছিল মুকুল রায়ের নামে। তা থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েও রক্ষা নেই। বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠে গেল।
তৃণমূলে থাকাকালীন সারদা-নারদের খাঁড়া ঝুলছিল মুকুল রায়ের নামে। তা থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েও রক্ষা নেই। বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠে গেল। বীজপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ককে খুনের অভিযোগ ওঠে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল রায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট আপাতত স্বস্তি দিল মুকুল রায়কে। হাইকোর্ট জানাল এখনই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানায়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চান। দেখতে চান ডেথ সার্টিফিকেটও। কিন্তু আদালতে এই সব নথি পেশ করতে পারেননি অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত জানিয়ে দেয়, এখন গ্রেফতার করা যাবে না মুকুল রায়কে। বিধায়ক-মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেট পেশ করার পরই এই মামলার পরবর্তী অগ্রগতি জানাবেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, বীজপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মৃণালকান্তি রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বোন সোনালি কুণ্ডু বীজপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন মুকুল রায়। তার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেন বিচারপচি জয়মাল্য বাগচি।
২০১৬ সালে মৃণালবাবুর মৃত্যু হয়। সেনালিদেবীর অভিযোগ, মুকুল রায় তাঁর দাদাকে নিজের দায়িত্বে রেখেছিলেন। তাঁকে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি দাদার সঙ্গে। তখন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয়নি বীজপুর থানা। পরে ব্যারাকপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তারপর আদালেতর নির্দেশে থানা অভিযোগ নেয়। সোনালি দেবীর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি আশঙ্কা থেকেই মুকুল রায় শরণাপন্ন হন হাইকোর্টের। সেখানে এদিন আপাত স্বসিত মেলে বিজেপি নেতার।
তাঁর আইনজীবী জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন এতদিন কেন অভিযোগ করা হয়নি। এএজি এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেই বিলম্ব।