হঠাৎ নবান্নে মুকুল রায়! রাজ্যের সচিবালয়ে দাঁড়িয়েই মমতার সরকারের পদত্যাগ দাবি
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে নবান্নে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। আর সেই নবান্নে দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারের পতন দাবি করে বসলেন।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে নবান্নে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। আর সেই নবান্নে দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারের পতন দাবি করে বসলেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে চিঠি দিয়ে বেরনোর পরই মুকুল রায়ের দাবি, রাজ্য সরকারের উচিত পদত্যাগ করা। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই সরকারের পদত্যাগ করাই সমীচিন ছিল।
নবান্নে মুকুল রায়
শনিবার দুপুরে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চেয়ে চিঠি দিতে নবান্নে এসেছিলেন মুকুল রায়। নবান্নের এক তলায় অভ্যর্থনা কেন্দ্রে বিজেপির তরফে চিঠি জমা দেন মুকুল রায়। চিঠিতে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়- আদালতের নির্দেশমতো ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় বিজেপি।
সরকারের পদত্যাগ দাবি
এরপর নবান্ন থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন, আদালতে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা কিছু নেই। তারপর কী করে ক্ষমতায় থাকতে পারে এই সরকার। এই সরকারের তাই পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যের সচিবালয়ে দাঁড়িয়ে এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেন ১৮টি চিঠিতেও নিরুত্তর
কেন ১৮টি চিঠি দেওয়ার পরও কোনও উত্তর দিল না রাজ্য প্রশাসন? এদিন ফের প্রশ্ন তুললেন মুকুল রায়। বিজেপি অুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে কোনও বৈঠকে বসেননি প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। তাই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন হাইকোর্টের বিচারপতিরাও সেই একই প্রশ্ন তুলেছেন।
একঘণ্টার নোটিশে আলোচনায়
বিজেপির তরফে নবান্নে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এক ঘণ্টার নোটিশে তাঁরা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা পালনে তাঁরা বদ্ধপরিকর। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁরা আলোচনায় বসবেন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর রিপোর্ট জমা পড়বে হাইকোর্টে।