সঙ্গ ছাড়ার পরেও বিজেপির কাছে 'আবেদন' করেছিল তৃণমূল! বিস্ফোরক দাবি মুকুল রায়ের
ফের বিস্ফোরক মুকুল রায়। তাঁর দাবি, ২০১৩-র হাওড়া লোকসভার উপনির্বাচনে, তৃণমূল কংগ্রেসের আবেদনে সাড়া দিয়েই, প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। দিন দুয়েক আগে রাজ্যসভার কমিটিতে দোলা সেনের বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, কংগ্রেসকে হারাতে রাজ্যসভার কমিটিতে বিজেপির কাছে ভোট চেয়েছিলেন, খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিস্ফোরক মুকুল রায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের বিস্ফোরক মুকুল রায়। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের দাবি, ২০১৩ সালে তৎকালীন সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে বিজেপির তরফে অসীম ঘোষের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা গেলেও, শেষ পর্যন্ত প্রার্থী দেয়নি তারা। এর কারণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, বিজেপির প্রার্থী না দেওয়ার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতার ডাক ছিল। তৃণমূলের নির্দেশে তিনি রাজনাথ সিংকে প্রার্থী না দিতে অনুরোধ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়।

'দোলা সেনকে ভোট বিজেপির'
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে তৃণমূল প্রার্থীর পাওয়া কথা ১০ থেকে ১২ টি ভোট সেখানে তৃণমূলের দোলা সেন পেয়েছেন ৯০ টি ভোট। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ৫০-এর আশপাশে ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৪৬ টি ভোট। প্রার্থী দিয়েছিলেন সিপিএমও। তাদের প্রার্থী করিম পেয়েছেন আটটি ভোট। আর বারোটি ভোট বাতিল হয়েছে। রাজ্যসভার কমিটিতে দোলা সেনের বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, কংগ্রেসকে হারাতে রাজ্যসভার কমিটিতে বিজেপির কাছে ভোট চেয়েছিলেন, খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার সঙ্গে বিজেপি যোগের প্রমাণ তুলে ধরতে চান মুকুল
দলে জন্মের পর থেকে দুদুবার বিজেপির সঙ্গে সংসদীয় নির্বাচনে জোট করেছিল তৃণমূল। বাজপেয়ী সরকারে অংশও নেয় তারা। পরবর্তী সময়ে জোট ভেঙে যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মমতা। কিন্তু তারও মধ্যে বিজেপির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ ছিল। সেটাই প্রমাণ করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই দিন দুয়েক আগে যেমন রাজ্যসভায় দোলা সেনের প্রসঙ্গ তুলেছেন, তারপর ২০১৩-র হাওড়ায় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। যদিও দোলা সেনের প্রসঙ্গ নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল নেত্রী যত বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, মুকুল রায় ততটাই বিভিন্ন ঘটনার দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন।