মাঝখান থেকে শুধু পুলিশ সরিয়ে নিন, ‘বাচ্চাছেলে’ পার্থকে চ্যালেঞ্জ ‘কাঁচাছেলে’ মুকুলের
ভোট এখনও তিন সপ্তাহ দূরে। তার আগে মনোনয়ন-পর্ব থেকেই মুকুল রায় হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূলকে নিশানা করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে মুকুল রায় বলেন, ‘বুকের পাটা থাকলে পুলিশ সরিয়ে নিন।
ভোট এখনও তিন সপ্তাহ দূরে। তার আগে মনোনয়ন-পর্ব থেকেই মুকুল রায় হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূলকে নিশানা করে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুক্রবার মুকুল রায় বলেন, 'বুকের পাটা থাকলে পার্থ চ্যাটার্জি পুলিশ সরিয়ে নিন। মানুষকে মনোনয়ন দিতে বলুন। তাহলেই দেখবেন এই নির্বাচনে আপনাদের কী হাল হয়।' এদিন তিনি বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।'
পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে। বিজেপি-সহ বিরোধীরা অভিযোগ করছে, শাসক দল সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত গড়ে তোলার নোংরা খেলায় নেমেছে। এই অবস্থায় পার্থবাবু বলেন, বিজেপি একদিকে মনোনয়ন করে আসছে, আর তারপরই নির্বাচন কমিশনে এসে মিথ্যা অভিযোগ করছে- তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এক হাত নেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবাধ পঞ্চায়েত ভোট চাই। তাই চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট হোক। কেননা রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও করবে। সাহস থাকলে পার্থবাবু নিজেদের পুলিশকে সরিয়ে নিন। তারপর দেখুন কী হয়।
এদিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অন্যান্যারা। সেখানেই তাঁরা একযোগে অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীপদে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। চাই শাসকের বিরুদ্ধে একযোগে গর্জে উঠতে।