মনোনয়নে প্রহসন, নেপথ্যে মমতা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগে নেত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন মুকুল
আগে ভোটের নামে প্রহসন হত, এখন মনোনয়নের নামেও প্রহসন চলছে। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
আগে ভোটের নামে প্রহসন হত, এখন মনোনয়নের নামেও প্রহসন চলছে। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। প্রাক্তন নেত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনেই মনোনয়নের বাড়তি দিনেও হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হল না। বাংলার গণতন্ত্র ধুলোয় মিশে গেল।
[আরও পড়ুন: বাম শাসনকেও হার মানাচ্ছে তৃণমূল! কাউন্সিলের কড়া চিঠি সত্ত্বেও চলছে সাংবাদিক নিগ্রহ]
মুকুল রায় বলেন, এদিন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের হাতে বিজেপি আক্রান্ত হয়েছে। ফলে মনোনয়ন দিতে গিয়েও তাঁরা পারেননি। তাঁর অভিযোগ, এখানে মুখ্যমন্ত্রী যেটা মনে করেন, সেটাই ঠিক, বাকি সব ভুল। পুলিশও জানাচ্ছে মনোনয়নে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। আর মুখ্যমন্ত্রী অনড় রয়েছেন যে, এই পুলিশ দিয়েই নির্বাচন করা হবে। একদিনের মনোনয়ন যে প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না, সেই প্রশাসনকে দিয়ে পুরো রাজ্যের ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুকুল রায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দিলদারের বাবার বক্তব্যের ভিডিও দেখান। তিনি দাবি করেন, বাংলার সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ, তাঁরা দিনভর সমস্ত ঘটনা তুলে ধরেছে। সেই ঘটনা পরম্পরা পর পর দেখালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্যে কী ধরনের অরাজকতা চলছে। সাংবাদিক সম্মেলনের কোনও প্রয়োজনই হবে না।
তিনি অশান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ৩২০টি বিডিও অফিস, ৬২টি মহকুমা শাসকের অফিস দখল করে নেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা অভিযোগ। তিনি এই সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে নির্বাচন কমিশনারের কাছে পেশ করবেন।
[আরও পড়ুন:দেড় ঘণ্টার নাটক! মুকুল দেখালেন ভিডিও, অনুব্রত-র সামনে ভোলবদল মৃতের বাবার ]