তৃণমূলের প্রতীকও হরণ করতে চেয়েছিলেন অভিষেক! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মুকুলের
শুধু অভিযোগই নয়, একেবারে নথি দেখিয়ে তিনি দাবি করলেন অভিষেক তৃণমূল দলটাকে প্রাইভেট লিমিটেডে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা করেছেন।
'বিশ্ববাংলা', 'জাগোবাংলা', 'মা-মাটি-মানুষে'র পর এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে নয়া বাণ হানলেন মুকুল রায়। অভিষেক তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুলের প্রতীকও দখল করে নিয়ে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। শুধু অভিযোগই নয়, একেবারে নথি দেখিয়ে তিনি দাবি করলেন অভিষেক তৃণমূল দলটাকে প্রাইভেট লিমিটেডে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা করেছেন। এমনকী তাঁর এই কাজে সম্পূর্ণ সায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও, সেই দাবিও তুলে দিলেন মুকুল রায়।
এদিন মুকুল রায় স্পষ্টতই বলেন, 'পেপার্স ছাড়া আমি একটা কথাও বলি না। আজও আমি বলছি না, যা বলার বলছে পেপার্স।' এরপরই অভিষেকের একটি এফিডেফিট প্রমাণাকারে তুলে ধরেন তিনি। সবার সামনে সেই কাগজ দেখিয়ে তিনি বলেন, 'বিশ্ববাংলা', 'জাগোবাংলা', 'মা-মাটি-মানুষ'- সবকিছুরই ট্রেড মার্ক অভিষেকের নামে। কোনটাই তৃণমূলের নয়।
উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর বিজেপিত আত্মপ্রকাশের মঞ্চ থেকেই অভিষেক বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন মুকুল রায়। 'বিশ্ববাংলা' ও 'জাগোবাংলা' ট্রেড মার্ক বিতর্কে অভিষেককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বিতর্কে সচিবকে নামিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ আইনি লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ হয়েছে বিষয়টি। বাকযুদ্ধে তৃণমূলকে ল্যাজে-গোবরে করে ছেড়েছেন মুকুল রায়।
এবার সেই বিতর্কে নবতম সংযোজন তৃণমূলের প্রতীক। মুকুলের অভিযোগ, 'তৃণমূলের ঘাসফুল প্রতীকও নিজের নামে করে নিতে চেয়েছিলেন অভিষেক। সেটি শেষপর্যন্ত হয়নি।' প্রতীকে দখলদারি কায়েম করার নথিও তিনি এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে বলেন, 'অভিষেক নিজেই আবার এফিডেফিট করে জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় এই কাজ করেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিতেই এসব হয়েছে।'
এদিন মুকুলের সাংবাদিক সম্মেলনের সিংহভাগই ছিল অভিষেককেন্দ্রিক। সেইসঙ্গে তিনি এদিন ট্রেড মার্ক বিতর্কে জড়িয়ে দেন মমতার নাম। তৃণমূল ছাড়ার পর এই প্রথম তিনি তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন। কাঠগড়ায় তোলেন মমতাকেও। তিনি বুঝিয়ে দেন আসন্ন পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না নেত্রীকেও। পঞ্চায়েত দিয়েই যে তৃণমূলের এক ও একদা দুই নম্বরের লড়াই শুরু হতে চলেছে, তার আভাসই দিয়ে গেলেন মুকুল রায়।