এক বা দু'লক্ষ নয় ২২ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়, মুকুল রায় কেন অস্বস্তিতে
শরৎকুমার সিং নামে এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্নৎসাতের অভিযোগ আছে। বেশকিছুদিন আগে কাশীপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। ঘটনার সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছিল খোদ লালবাজার।
বিজেপি-তে যাওয়ার পর থেকে যেন শনি লেগে রয়েছে মুকুল রায়ের পিছনে। কখনও তাঁর ঘণিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে এফআইআর। আবার কখনও তাঁর ঘণিষ্ট সরকারি অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদ থেকে। এমনকী কিছু দিন আগেই মুকুল রায় ঘণিষ্ট অর্চনা মজুমদারের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। এতে মুকুল রায়ের নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব ঝামেলার মাঝে আরও এক বিড়ম্বনার সামনে পড়লেন মুকুল রায়।
বর্তমানে এই বিজেপি নেতার ঘণিষ্ট এক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শরৎকুমার সিং নামে এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্নৎসাতের অভিযোগ আছে। বেশকিছুদিন আগে কাশীপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। ঘটনার সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছিল খোদ লালবাজার। অবশেষে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ শরৎকুমার সিং-কে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে কাশীপুর থানার হাতে তুলে দেবে লালবাজার।
জানা গিয়েছে, মুকুল রায়-এর খুবই ঘণিষ্ট এই ব্যবসায়ী শরৎকুমার সিং। শেয়ার কেনা-বেচার নাম করে এক গ্রাহককে এই অর্থ তিনি প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ। কাশীপুর থানায় ওই গ্রাহক একাধিক ধারায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। এই ঘটনার এখনও আরও তদন্ত বাকি বলেই পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। এত পরিমাণ অর্থ শরৎকুমার সিং কোথায় সরিয়েছেন তা এখন খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। কোনও প্রভাবশালীদের হাতে ওই অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত ব্যবসায়ী শরৎকুমার সিং-এর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।