‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ হবে ‘বেস্ট বেঙ্গল’! দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম্বানি-মিত্তালরা
রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের প্রথম দিনে আম্বানি বলেন, 'এক নতুন বাংলা গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখনই কলকাতায় আসি নতুন করে কলকাতাকে দেখতে পাই। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র দিদির জন্যই। আমার বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল' হবে 'বেস্ট বেঙ্গল'।'

[আরও পড়ুন:টেলিকম সেক্টরে অনিশ্চয়তা, আগামী ৬ থেকে ৯ মাসে কাজ যেতে পারে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের]
তিনি বলেন, 'শুধু কলকাতার প্রভূত উন্নয়নই নয়, বাংলা মানেই এখন বাণিজ্য হয়ে উঠেছে। রাজ্যে শিল্পের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে রাজ্যে শান্তির পরিবেশ ফিরে হয়েছে। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধীরে চলো নীতিকে বিদায় জানিয়েছেন। বাংলাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্যই বাংলায় এখন বাণিজ্যের দুয়ার খুলে গিয়েছে।'
রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির কথায়, 'দু-বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। রাজ্যের সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। সেই ইচ্ছাতেই মুম্বইয়ে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই দিদিকে আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আলোচনা করেছি। আজ এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ছুটে এসেছি বাংলার সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে।' পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে তিনি বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। এই ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরে পাঁচ হাজার কোটি বিনিয়োগ করতে চলেছেন আম্বানি।
এদিন বিশ্ববঙ্গ সম্মলনের মঞ্চ থেকে মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেন, 'বাংলার সব প্রান্তে পৌঁছবে জিও। জিও রাজ্যের প্রতিটি স্কুল-কলেজকে সংযোগ করবে করবে। টেলিকম দুনিয়ায় এক নতুন জোয়ার খুলে যাবে জিও-র কল্যাণে।' শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'বিশ্বের দরবারে বিশেষ সমাদৃত হয়েছে এই প্রকল্প। বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পকে তাই অভিনন্দন।'
আম্বানির পাশাপাশি লক্ষ্মী মিত্তালও কলকাতা তথা বাংলাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে সম্বোধন করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন তিনি। বলেন, 'কলকাতা আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনা করেছি। সেই টানেই বারবার ছুটে আসি বাংলায়। আর এখন কলকাতা তথা বাংলাকে দেখে অভিভূত। এই বাংলায় সব সম্ভাবনার দুয়ার খোলা রয়েছে বলে ঘোষণা করেন মিত্তাল।'
[আরও পড়ুন:ছাত্র কাউন্সিল গঠন নিয়ে ফের উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]
এদিন সজ্জন জিন্দলও রাজ্যের প্রশংসা করে আরও দশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখান। তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যে রাজ্যে শিল্প স্থাপন করেছি আমরা। একদিন আগেই শালবনিতে সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সেখানে ৮০০ কোটি বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরও ৩০০ কোটি বিনিয়োগ করছি। এবং বিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ৪০০ কোটি ছাড়াও আরও দশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বাংলার জন্য। বাংলায় শিল্পের দুয়ার খুলে যাবে।'