কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বঙ্গ বিজেপির জন্য ‘রং নাম্বার’! রাখঢাক না করেই জানালেন স্বপন
একুশের নির্বাচনে সুবিধানজজনক জায়গায় থেকেও হতাশজনক পারফরম্যান্স করেছে বিজেপি। বিজেপি অর্গানাইজেশনাল ফেলিওর হয়ে গিয়েছে একুশে। সেজন্য দায় এড়াতে পারে না বিজেপি নেতৃত্ব।
একুশের নির্বাচনে সুবিধানজজনক জায়গায় থেকেও হতাশজনক পারফরম্যান্স করেছে বিজেপি। বিজেপি অর্গানাইজেশনাল ফেলিওর হয়ে গিয়েছে একুশে। সেজন্য দায় এড়াতে পারে না বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন দলেরই সাংসদ মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতা স্বপন দাশগুপ্ত।
বাংলার জন্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ‘রং নাম্বার'
জনপ্রিয় এক টিভি চ্যানেলে একান্ত সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক করে নিয়ে আসা বিজেপির একটা বড় ভুল। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলার সংগঠনের জন্য বেছে নেওয়া কমপ্লিট ভুল সিদ্ধান্ত। বাংলার জন্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয় 'রং নাম্বার' বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কৈলাশকে আনা কেন ভুল হয়েছিল বাংলায়
শুধু এখানেই থেমে যাননি বিজেপি সাংসদ। তিনি ব্যাখ্যাও করেন, কৈলাশকে আনা কেন ভুল হয়েছিল বাংলায়। প্রথম কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হিন্দি বাংলার মানুষ বোঝেনইনি। তারপর একদিকে মমতা বলছেন, আর তার পাল্টা বলছেন কৈলাশ। তাতেই তো বহিরাগত বার্তা চলে যায় বাংলার মানুষের কাছে। কাজেই বিজেপি অর্গানাইজেশনাল ফেলিওর হয়ে যায়।
ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সমালোচনায় স্বপন
বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত কৈলাশকে বাংলার পর্যবেক্ষক করে আনা নিয়ে ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা উত্তরপ্রদেশে হয়তো ভালো সংগঠন করেছেন, নির্বাচনে ভালো ফল করেছেন, তার মানে এই নয় যে তিনি পশ্চিমবঙ্গেও ভালো করবেন। যিনি পশ্চিমবঙ্গের মাটি বোঝেন না, গ্রামগঞ্জের মানুষকে বোঝেন না।
বিজেপি আড়াআড়ি বিভাজন ঠেকাতে যায়নি
বিজেপির বর্ষীয়ান সাংসদ বলেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলার পর্যবেক্ষক করে নিয়ে আসার পরও বাংলায় বিজেপি আড়াআড়ি বিভাজন ঠেকাতে যায়নি। বরং একটা অংশকে নিয়েই চলতেন তিনি। বিজেপি সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও তাই ফায়দা তুলতে পারেনি। ২০১৯-এর বিরাট সাফল্যকে কাজে লাগাতে পারেনি বিজেপি।
তিন নেতা তিন ট্র্যাকে দৌড়লে হবে না
বর্তমানেই সেই বিভাজন বিজেপিকে শেষ করে দিচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তারপরেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, তার আগে বিজেপিতে ছন্নছাড়া অবস্থা। দলের তিন নেতা তিন ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন বিজেপিরই সাংসদ। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা বাংলায় যে যাঁর নিজের মতো করে চলছেন। সবাইকে একজোট করাই এখন সমস্যা। সবাইকে এক না করলে লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে বিজেপি। লক্ষ্যপূরণ করতে গেলে একটাই উপায়, তিন নেতাকে এক করা। তা না হলে বিজেপির রক্ষা নেই।
মমতা বিরোধী মুখ ঠিক করতে হবে
তবে তিনি এ কথাও বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপি ঠিক করতে পারেনি কে মুখ হবেন। তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছিল, কে হতে পারেন মমতা-বিরোধী মুখ। তা স্পষ্ট না করলেও স্বপন দাশগুপ্ত ইঙ্গিত করেছেন, যিনি সবথেকে জনতার মধ্যে প্রিয়, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাঁকেই মমতা-বিরোধী মুখ করা উচিত।