বিজেপির অ্যাকাউন্টে টাকা আসে অজানা সোর্স থেকে, টুইটারে বোমা ফাটালেন ডেরেক
রাজনৈতিক দলের নগদ অনুদানে লাগাম পরানোর সিদ্ধান্তকে বালকোচিত বলে পরিহাস করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি : রাজনৈতিক দলের নগদ অনুদানে লাগাম পরানোর সিদ্ধান্তকে বালকোচিত বলে পরিহাস করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ডেরেকের দাবি অজানা সোর্স থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে বিজেপি। এখন তাঁরাই রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছে।[আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে মুখর কুণাল ঘোষ, এবার নিশানায় ডেরেক]
টুইট করে তিনি জানান, 'আমরা নির্বাচনী সংস্কার চেয়েছিলাম। আর মোদী সরকার নগদ অনুদানের টাকা ২০ হাজার থেকে কমিয়ে দু'হাজার করেই দায় সারল। এটা একেবারেই একটা বালকোচিত সিদ্ধান্ত। এর ফলে কোনও লাভ হবে না।'[রাজনাথ-কারাতের 'ভুয়ো' ছবি দেখিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে বিপাকে তৃণমূল!]
বুধবার বাজেট ঘোষণার পরই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বাজেট দিশাহীন, অর্থহীন ও ভিত্তিহীন বাজেট। শুধু কিছু সংখ্যা ও শব্দের কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নেই বাজেটে। এদিন ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিজেপিকে সমালোচনা বিদ্ধ করলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।[তৃণমূল 'গুরু'-দের থেকে ক্লাস নিয়ে সংসদে 'পরীক্ষা' দিতে চললেন বাধ্য 'সাংসদ' ছাত্রছাত্রীরা]
এবার বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক দল অনুদান হিসেবে দু'হাজার টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করতে পারবে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ঘোষণা করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কালো টাকায় তিনি লাগাম পরাতে চান। চাঁদা খাতে যে টাকা রাজনৈতিক পার্টি গুলোর তহবিলে যায়, তা যে সব সাদা টাকা নয়, তা এই ঘোষণায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেটলি।
And look who is preaching about electoral reforms? The party that has already picked up billions from "unknown sources" #Budget2017 2/2
— Derek O'Brien (@quizderek) February 1, 2017
ডেরেক বলেন, যে পার্টির তহবিল কালো টাকায় পুষ্ট, তারাই এখন নির্বাচনী সংস্কারের কথা বলছে। নিজেরা গুছিয়ে নিয়ে তারপর যে কাজে নামছে, তাতেও কোনও সমস্যার সমধান হবে না। তিনি আরও লেখেন, যেখুন কোন পার্টি সংস্কারের কথা বলছে, যাদের অ্যাকাউন্টে রাশি রাশি অজানা সোর্সের টাকা ঢুকছে।
এদিন রেল বাজেটকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সমালোচনাও করেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত রেলের পক্ষে সুখকর হবে না বলেই তাঁর বিশ্বাস। রেলে প্রতি আলাদাভাবে নজর দেওয়া যাবে না এর ফলে। ক্ষতির মুখে পড়তে বাধ্য রেল।