ফিরহাদের গড়ে জনসংযোগ সেলিমের, ২৪-এর লক্ষ্যে কি ভারত জোড়ো যাত্রায় মিলবে সাড়া
ফিরহাদের গড়ে জনসংযোগ সেলিমের, ২৪-এর লক্ষ্যে কি ভারত জোড়ো যাত্রায় মিলবে সাড়া
তৃণমূলের হেভিওয়েটমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গড়ে জনসংযোগ যাত্রায় নেমেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ফের বাংলায় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার লড়াইয়ে সিপিএম পাখির চোখ করেছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে। এখন প্রশ্ন, ২৪-এর লক্ষ্যে কি ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সাড়া দেবে বাংলার লালপার্টি।
মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে জনসংযোগ যাত্রা
শনিবার খিদিরপুরে ফিরহাদ হাকিমের গড়ে সিপিএমের পক্ষ থেকে জনসংযোগ যাত্রা করা হয়। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে এদিন জনসংযোগ যাত্রা চলে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থক খিদিরপুর বাজারে দোকানে গিয়ে সাহায্য চান। উল্লেখ্য, সিপএম বড়দিনেও কলকাতায় ভিক্টোরিয়ার সামনে জনসংযোগ অভিযান করেছিল একই পদ্ধতিতে।
এখন শুধু চড় মেরেছে, এরপরে গাছে বাঁধবে
সিপিএমের এই জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিয়ে একহাত নেন তৃণমূলকে। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, আজ উত্তর ২৪ পরগনায় দিদির সুরক্ষা কবচে অভিযোগ জানাতে গেলে এক ব্যক্তিকে চড় মারা হয়েছে। মহম্মদ সেলিম বলেন, এখন শুধু চড় মেরেছে, এরপরে গাছে বাঁধবে।
মানুষ জেগেছে, চোরদের রাস্তায় দৌড় করাচ্ছে
শুধু দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিকে নিশানা করেই ক্ষান্ত হননি সেলিম, তিনি তৃণমূলের চুরি-জোচ্চুরি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেন্দ্রীয় দল আসছে পর্যবেক্ষণে। মিড ডে মিল নিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে মোদী সরকার রয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ থেকে চুরি-জোচ্চুরি চলছে। আমফানের টাকা, রেশনের টাকা, বন্যার টাকা, রাস্তার টাকা- সব চুরি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রজেক্ট নিয়ে লুঠপাট চলছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও স্টেপ নিচ্ছে না। এখন মানুষ জেগেছে, চোরদের রাস্তায় দৌড় করাচ্ছে। তখন কেন্দ্রীয় সরকার দল পাঠাচ্ছে।
কাউকে ধরেও বাঁচতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মহম্মদ সেলিম এবার তৃণমূল ও বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখে নিশানা করেন। তিনি বলেন, এইভাবেই চিটফান্ডের চোরদেরকে বাঁচিয়েছে বিজেপি এবং চোরদেরকে নিজেদের দলে নিয়েছে। পুলিশ যদি চোরদেরকে শাস্তি না দেয় মানুষ শাস্তি দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে রাখুন, আপনি মোহন ভাগবত, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ- কাউকে ধরেও বাঁচতে পারবে না।
ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেসের সাফল্য কামনা সেলিমের
এদিন কংগ্রেসের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারত জোড়ো যাত্রায়। সেই আমন্ত্রণ নিয়ে সেলিম বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা একটা সফল কর্মসূচি কংগ্রেসের। আমরা চাইছিলাম হিন্দুত্ববাদী শক্তি ধর্মের নামে যেভাবে বিভাজনের কাজ চালাচ্ছে, সেটা বন্ধ হোক। সেখানে সকল ধর্মের সঙ্গে, সম্প্রদায়ের সঙ্গে এবং রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যের এককাট্টা হয়ে চলার প্রয়াসকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
ভারত জোড়ো যাত্রায় কি যোগ দেবে তৃণমূল
তিনি বলেন, আমাকে গতকাল আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আমাদের নিজেদেরও কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের আমরা সাফল্য কামনা করি। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষকে এককাট্টা করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৈরি। ২০২৪-এ আমরা এই দুই শক্তিকেই হটাতে চাই।
বীরভূম এবার অনুব্রতহীন! পঞ্চায়েত ভোটের আগে নজরদারিতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়