নির্বাচনের আগে দেশে 'শ্যাডো ওয়ার'! পুলওয়ামা নিয়ে মোদী ও অমিত-কে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি চলছে। দেশেজুড়ে নির্বাচনের আগে 'শ্যাডো ওয়ার'-এর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি চলছে। দেশেজুড়ে নির্বাচনের আগে 'শ্যাডো ওয়ার'-এর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ক্ষোভে ফেটে পড়ে নবান্ন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি-কে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা নিয়ে কেউ কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করবে না বলে চুপ করেই রয়েছে, সকলেই এটাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিলিত লড়াই বলে মনে করছে, এই বিষয়ে যেহেতু একটা ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হচ্ছে তাই কেউ কোনও মন্তব্য করেনি। অথচ, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ রোজই বিভিন্ন জনসভায় পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে সমানে রাজনীতি করে চলেছেন। ক্ষিপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভেবেছিলাম এই নিয়ে কিছুই বলব না, কিন্তু অনেক চেপে রেখেও পারালাম না , শেষে বাধ্য হলাম মুখ খুলতে।' তিনি আরও বলেন যে, পুলওয়ার ঘটনার পর মোদী ও অমিত শাহরা যা করছেন তাতে মনে ওরাই একমাত্র দেশপ্রেমিক, বাকিরা সব বিদেশি, এদের কোনও দেশপ্রেম নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, পুলওয়ামা নিয়ে দেশজুড়ে একটা 'শ্য়াডো ওয়ার'-এর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এই যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব-এর জন্য নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-দের কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, পাঠানকোট, উরি হামলার সময় এমন গণ উন্মাদনা দেখা গেল না কেন? কেন সেই সময় এখনকার মতো সরব ছিলেন না মোদী, অমিত শাহ? এমন প্রশ্নও তোলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, দেশে একটা গণ উন্মাদনা তৈরি করা হয়েছে। এই গণ উন্মাদনা দিয়ে রাজ্যে দাঙ্গা বাধানোর উসকানিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, যারা ধর্মীয় উসকানি, ফেক নিউজ, জাতি বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে দেশে যে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলবে তা মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টেই প্রকাশ পেয়েছে। এই রিপোর্টের সত্যতা যে আছে তা তো দেশের পরিস্থিতির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচনের আগে যুদ্ধ-যুদ্দ খেলা খেলতে চাইছেন মোদী ও অমিত শাহরা। এতই যদি চিন্তা , তাহলে ২৫০০ জন জওয়ানকে গাড়িতে করে পাঠানোর কী দরকার ছিল? কেন তাদের এয়ার লিফট করা হলো না?
মতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন দেশপ্রেমে কেন ওনার এত গায়ে লাগছে, আসলে এখন প্রমাণ দিতে হবে তিনি কোন পক্ষে আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে মন্তব্য করেছেন বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।